নানা কারণে হামেশাই লাইমলাইটে চলে আসেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণি। কিছু মাসে আগে তো তাঁর এবং তাঁর স্বামী শরিফুলের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। ব্যাপারটা তো বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও পরে সব আবার ঠিকঠাক হয় যায়। এখন তাঁরা তাঁদের একরত্তি ছেলে রাজ্যকে নিয়ে সুখে আছেন। কিছুদিন আগেই তার অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠিত হল। এবার একদম অন্য কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন অভিনেত্রী। জানালেন তিনি নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। এবং বলাই বাহুল্য সেটা তাঁর স্বামী শরিফুল নয়। তবে কে?
২০২৩ এর গোটা জানুয়ারি জুড়ে পরীমণি এবং শরিফুল রাজের সম্পর্ক নিয়ে ভীষণই টানাপোড়েন গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই লেখেন। কিন্তু তারপর সবটা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এখন রাজের সঙ্গেই সংসার করছেন অভিনেত্রী। কিন্তু একি! বরের ঘর করতে করতেই তাঁর মুখে অকুণ্ঠ প্রশংসা শোনা গেল আরেক অভিনেতার। না, প্রশংসা করাটা কোনও বিষয় নয়। বিষয় হল তিনি জানিয়েছেন যে তিনি প্রেম করছেন। কোনও আড়াল, কোনও রাখঢাক নয়। বরাবরের মতো এবারও প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন তিনি প্রেমে পড়েছেন। আর যাঁর প্রেমে তিনি পড়েছেন তাঁর নাম হল মাহফুজ আহমেদ।
পরীমণি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অভিনেতাকে নিয়ে লেখেন, ‘কী রোম্যান্টিক লুক। প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো আপনি মনা।’ কী দেখে তিনি এই কথা লিখেছেন ভাবছেন? সদ্যই চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত প্রহেলিকা ছবির গান মেঘের নৌকা মুক্তি পেয়েছে। আর এই ছবিতে নায়কের ভূমিকায় আছেন মাহফুজ। আর এখানে, অর্থাৎ এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম হয়েছে মনা। ফলে পরীমণি যে প্রহেলিকা ছবির নায়কের রূপে মজেছেন সেটা স্পষ্ট।
তিনি তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, ‘কী সুন্দর মিষ্টি একটা গান! যেমন সুন্দর গানের কথা, সুর, গায়কি, লোকেশন আর শিল্পীরা। কিন্তু এত সব সুন্দরের মাঝে আমার চোখ আটকে রইল মনার দিকে। মানে মাহফুজ় আহমেদ। কী রোম্যান্টিক লুক! জাস্ট প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো আপনি মনা।’
চয়নিকা চৌধুরীর এই ছবিতে মাহফুজের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলি। তবে চয়নিকা যে কেবলই মাহফুজের প্রশংসা করেছেন সেটা নয়। তিনি একই সঙ্গে পরিচালকের প্রশংসাও করেন। লেখেন, ‘চয়নিকা চৌধুরী, তুমি সত্যিই অসাধারণ। এমন করে প্রেমটা তুমি পর্দায় তোলো, তার আরও একটা উদাহরণ হয়ে রইল। আমার গর্ব হয় তোমার জন্যে। আমরা নিশ্চয়ই গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের একজন চয়নিকা চৌধুরী আছেন।’
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।