বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্কে আছেন হৃতিক রোশন এবং সাবা আজাদ। তাঁদের নিয়ে হামেশাই চর্চা হতে দেখা যায়। সম্প্রতি সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তিনি এই বিষয়টার ব্যাপারে বললেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফসলে এটা। শুধু তাই নয়, তিনি জানালেন এই ধরনের চর্চা তাঁর ভালো লাগে না।
হৃতিকের সঙ্গে এর আগে সুজেন খানের বিয়ে হয়েছিল। তবে ২০১৪ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। এরপর গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সাবা এবং হৃতিককে প্রথমবার একসঙ্গে ডিনার ডেটে যেতে দেখা যায়। তারপর করণ জোহরের ৫০ তম জন্মদিনের দিন ২০২২ এর মে মাসে তাঁরা তাঁদের সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। এখন তাঁদের হামেশাই একসঙ্গে ছুটি কাটাতে, একে অন্যের পোস্টে কমেন্ট করতে দেখা যায়।
নারী দিবস উপলক্ষ্যে সাবাকে প্রশ্ন করা হয় যে এটা কি তাঁর খারাপ লাগে যখন কেউ তাঁর কাজের বদলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলে। এই বিষয়ে অভিনেত্রী ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, ‘এটা আমাকে ভীষণ বদার করে। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসটা চলে আসছে। মহিলাদের পুরুষদের জীবনে একটা সুবিধা হিসেবে দেখা হয়ে আসছে। এটা আর কিছু নয়, স্রেফ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফসল। বহুদিন এটা চলে আসতে আসতে অনেকদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় জিনিসটা এখন পাল্টাচ্ছে। মহিলারা এখন সমাজের সব স্তরে, সর্বক্ষেত্রে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁরা পুরুষদের মতোই সাফল্য পাচ্ছে।’
এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমরা এখন ইক্যুয়াল পে, মহিলাদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, ইত্যাদি নিয়ে লড়ে চলেছি যা এর আগে কখনও ভাবা হয়নি। পণপ্রথা, নারী পাচার সহ আরও কত কীই না সহ্য করতে হয় মেয়েদের। এখনও এই পৃথিবীটা নারী পুরুষ দুজনের জন্য সমান সমান হয়নি। সেই কারণেই নারী দিবস আমরা পালন করছি। যদি এই দুনিয়া সবার জন্য এক হতো তাহলে কেবল এই একটা দিন আমরা নারীদের জন্য উদযাপন করতাম না।’
সাবাকে আগামীতে রকের বয়েজ ২-তে দেখা যাবে। সম্প্রতি তিনি ফারজি ছবির টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন। অন্যদিকে হৃতিককে আগামীতে সিদ্ধার্থ আনন্দের ছবি ফাইটারে দেখা যাবে। সেখানে তাঁর সঙ্গে আছে দীপিকা পাড়ুকোন এবং অনিল কাপুর।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।