Entertainment

জীবন ঢাকা শহরে বড় কঠিন- নিজের শহর নিয়ে ফেসবুকে কোন

বাংলাদেশ বলুন বা পশ্চিমবঙ্গ, দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন চঞ্চল চৌধুরী। তাঁকে কাজের জন্য হামেশাই শহরের বাইরে যেতে হয়। থাকতে হয় ভারতেও। আর এই সব কারণ, কাজের চাপ থাকায় তিনি তাঁর সন্তান, শুদ্ধকে খুব একটা সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না অভিনেতা। এতদিন পর অবশেষে ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তিনি ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। ছেলের অভিমান ভাঙাতে এবং অবশ্যই তাঁর আবদার রাখতে তিনি ওকে স্কুল থেকে আনতে যন। গিয়েই সম্মুখীন হলেন এক অদ্ভুত যন্ত্রণার।

ঢাকার যানজট যে কী জিনিস সেটা নিয়ে হামেশাই ওপার বাংলার নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে দেখা যায়। বাংলাদেশের রাজধানীর এই জ্যাম বড়ই বিখ্যাত। অনেকেই অনেক বার অভিযোগ জানিয়েও এর থেকে মুক্ত হতে পারেননি। এবার আরও অনেকের মতোই একজন সাধারণ নাগরিক, একজন বাবা হিসেবে ঢাকার জ্যাম নিয়ে অভিযোগ করলেন অভিনেতা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢাকার জ্যাম নিয়ে একটি বড় পোস্ট লেখেন অভিনেতা। তিনি এই পোস্ট নগরপিতার উদ্দেশে লেখেন। লেখেন, ‘নগরপিতার কাছে প্রার্থনা, রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোন আশু পদক্ষেপ নেয়া যায়? যে কোনওভাবে, সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চলানোর ব্যবস্থা করা যায় না?’। তিনি আরও জানান এই জ্যামের কারণেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে অভিভাবকদের। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, ‘ঢাকা শহরের বাবা মায়েদের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ। সন্তানকে স্কুলে আনা নেওয়া, কোচিংয়ে আনা নেওয়া, এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম! বাবা মায়ের এই কষ্টটুকু যদি অন্তত সকল সন্তান বুঝত। তাঁরা একটু হলেও শান্তি পেত! আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না।’

এই পোস্টে তাঁকে নিজের ছোটবেলার সঙ্গে বর্তমান সময়ের তুলনা টানতেও দেখা যায়। জানান, ‘খুব আফসোস হয়,ছোটবেলায় আমাদের বাবা মা কোনদিনই স্কুলে আনা নেওয়া করেনি। গ্রামের স্কুল তো, দল বেঁধে সব ছেলে মেয়েরা এক সঙ্গে, এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম, আসতাম।’

অভিনেতার কথা অনুযায়ী এই শহরের যানজটের মতো সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য খরচটাও বেশ ঝক্কির! তাঁর সর্বশেষ কথা, ‘আমার বিশ্বাস,আমাদের বাবা মা আমাদেরকে মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন,আমরা তাঁদের চেয়ে বেশী বই কম যুদ্ধ করছি না আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য।’

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।