Entertainment

তুনিশা শর্মা মৃত্যু মামলায় অভিনেতা শিজান খানকে কেন জামিন দিল

মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাইয়ের একটি আদালত শনিবার তুনিশা শর্মার মৃত্যু মামলায় অভিনেতা শিজান খানকে জামিন দেয়। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে যে তদন্ত সম্পূর্ণ এবং চার্জশিট দাখিল হওয়ায় তাঁকে আর কারাগারে রাখার দরকার নেই।

শনিবারের তার আদেশে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরডি দেশপান্ডে বলেছেন যে, শুনানির জন্য মিস্টার খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য জামিনের কিছু শর্ত রাখার কথা।

তুনিশার মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুল ধারাবাহিকের সেট থেকে। ২৪ ডিসেম্বর ঘটে সেই ঘটনা। এরপর ২৫ ডিসেম্বর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শিজানকে।

শনিবার বিচারক জানান, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার পরে এবং চার্জশিট দাখিল করার পরে, আমি এই আবেদনকারীকে (খান) কারাগারের পিছনে রাখার জন্য কোনও বিশেষ পরিস্থিতি খুঁজে পাচ্ছি না৷ প্রসিকিউশনের দাখিল করা বক্তব্যে কোথাও কোনও পর্যাপ্ত কারণ বিবেচনায় আসছে না যার জন্য আবেদনকারীকে কারাগারের পিছনে আটকে রাখা হবে’

আদালতে শিজানের উকিল শৈলেন্দ্র মিশ্র জানান, যদি ধরেও নেওয়া হয় যে তাঁর মক্কেল মৃতের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে সরে এসেছেন, তার দিকে সম্পর্ক ঠিক করার ইচ্ছে না থাকাটাও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দাবিকে সন্তুষ্ট করে না।

ঘটনার দুই মাস আগে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল এবং ভিক্টিমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ভূমিকা মামলায় তার নির্দোষ হওয়াকেই দেখাচ্ছে, মিশ্র আদালতকে জানান।

‘মিস্টার খান একজন সুপরিচিত অভিনেতা এবং মুম্বইতে তার স্থায়ী বসবাসের জায়গা রয়েছে এবং তাই তিনি আন্তরিকভাবে এবং নিয়মিত আদালতের দেওয়া শুনানির তারিখে উপস্থিত থাকবেন।’, দাবি শিজানের আইনজীবীর। তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আরও জেলে থাকার অর্থ হয় বিচার-পূর্ব দোষী সাব্যস্ত হওয়া’।

জামিনের আদেশে বিচারক দেশপান্ডে বলেছেন, ‘এখন তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং পুলিশ বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম শ্রেণীর ভাসাইতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে চার্জশিট দাখিল করার পরেও পুলিশ শেষ দশ মিনিটে তাদের দুজনের মধ্যে আসলে কী ঘটেছিল তা রেকর্ড করতে পারেনি।’

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে তুনিশার মোবাইল ফোন ডেটা সংগ্রহের জন্য ‘খোলা’ ছিল না, তবে সেই দিকটি প্রসিকিউশন এবং (ফরেন্সিক সায়েন্স) ল্যাবরেটরি কর্মকর্তাদের দ্বারা ঠিক করতে হবে, বিচারক বলেন।

সঙ্গে বিচারক জামিন মঞ্জুর করার অন্যতম কারণ হিসেবে কারাগারের ভিড়কেও উল্লেখ করেছেন। যোগ করেছেন মিস্টার খান তার উপর বেঁধে দেওয়া কোনও শর্ত লঙ্ঘন করলে প্রসিকিউশন আদালতে যেতে পারে।

 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।