সতীশ কৌশিকের মৃত্য়ুর তদন্ত শুরু হয়েও ফের তা থমকে গেল। তদন্তে যোগ দিতে অস্বীকার করলেন খোদ অভিযোগকারী। সতীশ কৌশিকের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। আর এই খুন করিয়েছেন তাঁর স্বামী বিকাশ। দু’দিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর স্ত্রী সানভি মালু। নিজের অভিযোগ নিয়ে দিল্লি পুলিশ কমিশনার চিঠি লেখেন সানভি। সেই চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকেও পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছিল তদন্ত। তবে হঠাৎ-ই তদন্ত শুরু হতে তাতে যোগ দিতে অস্বীকার করছেন সানভি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তকারী অফিসাররা সানভি কৌশিককে তদন্তে যোগ দিতে বলে নোটিশ পাঠান। তবে তিনি তাতে যোগ দেননি। তাঁর দাবি, মামলায় নিযুক্ত তদন্তকারী অফিসারদেরই বদলে ফেলা উচিত। এবিষয়ে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, আমরা সানভি অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে মহিলা এখন পুলিশের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করতে অস্বাকীর করতে চাইছেন কিনা তা ঠিক স্পষ্ট নয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় সতীশ কৌশিকের। মনাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে, ধমনীতে ব্লকেজ থাকার কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ছে সতীশ কৌশিকের। আর তার ঠিক পরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর স্ত্রী সানভি মালু। তাঁর অভিযোগ ছিল, সতীশ কৌশিক হোলির দিন দিল্লিতে বন্ধু বিকাশ মালুর ফার্ম হাউস পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভারত ও দুবাইয়ে তাঁদের বাড়িতে সতীশ প্রায়ই যেতেন। সানভির দাবি অনুযায়ী, নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য সতীশ কৌশিকের থেকে ১৫কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন বিকাশ মালু, আর সেটা প্রায় তিন বছর আগে। তবে বিকাশ সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। তা নিয়েই সতীশ ও বিকাশের মধ্যে ঝামেলা বেঁধেছিল। দুবাইয়ের বাড়িতে গত অগস্টে টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় সতীশ ও বিকাশের। সেসময় সানভি নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিকাশ জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরে টাকা ফেরত দেবেন সতীশকে।
সানভির দাবি স্বামী বিকাশ মালু নিজেই নাকি তাঁকে বলেন, ‘টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।যে ১৫ কোটি দিয়েছিল পাগল লোকটা, তা করোনায় ডুবে গিয়েছে। বলেন, একদিন রাশিয়ানরা ওকেডেকে নীল বড়ির ওভারডোজ দেবে, আর ও মেরে যাবে। টাকা কে ফেরত দেবে!’ এখানেই শেষ নয়, সানভির আরও দাবি বিকাশ মালু সেই রাতেই নাকি সানভিকে বলেছিলেন, ‘তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করতে হবে সতীশ কৌশিকের। নাহলে মুশকিল।’ সানভির দাবি বিকাশই সতীশকে খুন করিয়েছেন। সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে হয়। এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধে এই মামলায় সাক্ষী হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন সানভি মালু। তবে স্বামীর বিরুদ্ধে এমন দাবি করার পরও হঠাৎ কেন তিনি শুধুমাত্র অফিসার বদলানোর দাবিতে তদন্তে যোগ দিলেন না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।