Entertainment

সরকারি কর্মচারীদের হাল বদলায়নি, এ কী বললেন শাসক-ঘনিষ্ঠ নচিকেতা!

‘বারোটায় অফিস আসি দুটোয় টিফিন। তিনটেয় যদি দেখি সিগন্যাল গ্রিন। চটিটা গলিয়ে পায়ে, নিপাট নির্দিধায়…।’ কী লিরিক্সটা চেনা চেনা লাগল? একদমই ঠিক ধরেছেন নচিকেতা চক্রবর্তীর সরকারি কর্মচারী গানটির লিরিক্স। আর এই গানই দেখতে দেখতে ২৫ বছর পার করে ফেলল। কম চর্চা হয়নি এই গান নিয়ে। বারবার গায়কের একাধিক গানের তালিকার মধ্যে এটি নানা কারণে চর্চিত হয়েছে। এটি হল নচিকেতার আমি পারি অ্যালবামের গান।

২৫ বছর আগে মুক্তি পাওয়ার পরই এই গানটি বিপুল সাড়া পেয়েছিল। দারুণ জনপ্রিয় হয়। মূলত বেকার যুবকদের কাছে এই গান আলাদা মাত্রা নিয়ে এসেছিল। যেন তাঁদের মনের কথা এই গানে উঠে এসেছে। তবে আজ, এত বছর পরও কি এই গানের প্রাসঙ্গিকতা এতটুকু কমেছে? বদলেছে এই জীবনমুখী গানটির মানে? এই বিষয়ে কী ভাবছেন গায়ক নিজে? তাঁর মনে কথা কী? এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন তিনি?

এই গানের কথার বিষয় নচিকেতা বলেন, ‘অবস্থা খুব একটা বদলায়নি। কিন্তু কিছু বদল আবার হয়েছেও। আসলে যা পরিকাঠামো আছে তাতে পুরো বদল হওয়া সম্ভব নয়।’

বর্তমানে রাজ্যে যা চলছে! শিক্ষাব্যবস্থায় নানা দুর্নীতি থেকে অন্যান্য নানা দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। সেই বিষয়েই মাথায় রেখে কিছুদিন আগে গায়ক নিজেই এই গানের দুকলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাঁর সেই ফেসবুক পোস্টের তলায় অনেকেই বর্তমান অব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। আলোচনা করেন। তিনি তাঁর সেই পোস্টে লেখেন, ‘প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনই নয়!’

আর এই গান এবং তার জনপ্রিয়তা নিয়ে কী অভিমত গায়কের? এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন আজও এই গান শোনে, তখন বুঝতে হবে, মানুষ আজও ভুগছে। তারা আজও ভুক্তভুগী। সে গানটি শুনে হাততালি দিচ্ছে মানে সে এখনও সাফার করছে। বিষয়টা প্রাসঙ্গিক বা হলে মানুষ সেই গান শুনবেন কেন?’

তবে কেবল এই গান নয়, হামেশাই, একাধিক এমন গান লিখেছেন তৈরি করেছেন নচিকেতা যেখানে উঠে এসেছে আমাদের সমাজের বাস্তব জ্বলন্ত সমস্যাগুলোর কথা। কখনও ধরা পড়েছে সরকারি কর্মচারীদের কথা তো কখনও বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা বাবা বা মায়ের কথা তো কখনও অন্য কিছু। তবে কেবল সমস্যাই নয়, তাঁর গানে গানে উঠে এসেছে ভালোবাসার গল্পও।

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।