India

H3N2 Virus: ফের মৃত্যু! দেশ জুড়ে সকলের রাতের ঘুম কেড়ে

⦾ করোনা তো ছিলই। এর মধ্যে দেশে একদিকে অ্যাডিনো-হানা। আর সঙ্গে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। হরিয়ানা ও কর্নাটকে এই ভাইরাসে কদিন আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটক থেকেই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, দ্বিতীয় মৃত্যু হরিয়ানাতে। এবার মৃত্যুর খবর এল মহারাষ্ট্র থেকে। সেখানে বছর তেইশের এক মেডিক্যাল স্টুডেন্ট এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর। এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার পোস্টমর্টেম করে তাঁর রক্তে H3N2 ভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। যদিও তিনি কোভিডেও আক্রন্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, H3N2-এর জেরেই মৃত্যু ঘটেছে তাঁর। সেটা সত্য হলে, এই নিয়ে দেশে তিনজনের মৃত্যু  H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে।ফলে, দূরের আতঙ্ক আর  নিছক আতঙ্ক হয়েই নেই, তা নিয়ে এখন সকলেই কথা বলছে। বলতে গেলে মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে নতুন এই মারণ ভাইরাস।

⦾ Surekha Yadav | Vande Bharat: এশিয়ায় প্রথম! ‘বন্দে ভারতে’র সঙ্গেও নিজের নাম জড়িয়ে ইতিহাস হলেন সুরেখা…

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভাইরাসের দাপট বাড়ছে এ দেশে। কলকাতায় এইচ১এন১ ভাইরাস মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও শোনা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর জানাচ্ছে, দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এইচ৩এন২ প্রজাতি ছড়িয়েছে। H3N2 ভাইরাসের জেরে প্রায় ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা “হংকং ফ্লু” নামে পরিচিত। ভাইরাসটি ক্রমশ ব্যাপক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও চিকিৎকরা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন। জ্বর বেশিদিন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে। 

⦾ Tulip In kashmir : পাহাড়ের কোলে, লেকের পাশে বর্ণিল ফুলসম্ভার! কোথায় এ পুষ্পিত বসন্ত?

আসুন, ভাইরাসটি সম্বন্ধে জরুরি কিছু কথা জেনে রাখা যাক:

কী এই H3N2 ভাইরাস? 

এটি একধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এর চারটি ধরন– এ, বি, সি ডি। এই ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ আবার কয়েকভাগে বিভক্ত। এরই কটা ধরন এই H3N2। 

H3N2 ভাইরাসের উপসর্গ কী কী?

এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপসর্গ মূলত জ্বর, সর্দি-কাশি। জ্বর ও কাশির পাশাপাশি এই ভাইরাসের আক্রমণে নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণাও দেখা যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রজাতিটি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। এই ভাইরাল স্ট্রেন একবার শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়াতেও পারে। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লাগছে।

কীভাবে বাঁচবেন এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে?

ডাক্তারেরা সেলফ হাইজিনের উপর মাত্রাতিরিক্ত জোর দিতে চাইছেন। নিজের চোখ-নাক-মুখ ইত্যাদি ছোঁয়ার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। সম্ভব হলে পকেটে স্যানিটাইজার রাখুন ও ব্যবহার করা অভ্যেস করুন। যেসব মানুষ ইতিমধ্যেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত তাঁদের সঙ্গ কিছুদিনের জন্য অন্তত এড়িয়ে চলুন। 

এই সময়টা প্রচুর ফল ও সবজি খান। আগাগোড়া একটা হেলদি ডায়েট মনে চলুন। প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড খান। কম তেল-মশলা দেওয়া ঘরে তৈরি খাবারই মূলত খান। খাবার যেন লো-ফ্যাট হয়। এই পুরো বিষয়টি শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার তৈরি করতে থাকবে। যা দিয়ে আপনি  H3N2-র সঙ্গে লড়তে পারবেন।   

(————– সমাপ্ত ————–) 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।