নিয়োগ দুর্নীতিতে ইদানীং উঠে এসেছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম। এরপরেই বুধবার তাঁকে ৩ ঘণ্টা ধরে জেরা করেছে সিবিআই। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, সুজয় বেহালার বাসিন্দা। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং তাতে তিনি ৮০৯টি ভোট পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের তলব পেয়ে বুধবার বেলা ১১টার সময় তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন। আপাতত তাঁকে পুনরায় ডেকে পাঠানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন সুজয়।
এদিন নিজাম প্যালেসে প্রবেশের আগে তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি সিবিআইয়ের কাছ থেকে নোটিশ পেয়েছিলেন। সেই নোটিশ পেয়ে দুজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, দ্বিতীয়বার তাঁকে ডেকে পাঠানোর বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম শোনা গিয়েছিল। তাপসের দাবি ছিল, কুন্তল ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন সুজয়। তবে তিনি জানিয়েছেন, কুন্তল, শান্তনুকে তিনি চেনেন। টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম কিনা তা আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। নিলে ওদের বলতাম।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় তার বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তৃণমূলের বক্তব্য, সুজয়কৃষ্ণকে ডামি নির্দলপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছিল।
তবে সেই দাবি অস্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। এদিকে, ওই কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। তবে তিনি হেরে যান। মোট ৭৩,৬৩৫ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। এতদিন পর হঠাৎ নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম উঠে আসে। বিভিন্ন জনের কাছে তাঁর নাম শোনার পর অবশেষে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। শান্তনু ও কুন্তলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। তবে রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।’
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।