সুতপা সেন: ‘ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই’। বিধানসভায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘আর কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডু কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন’।
বাজেটের পর ফের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩৮ শতাংশের বদলে এবার ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? এ রাজ্যে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে আরও।
প্রথমে ধরনা, তারপর এখন অনশন চলছে ধর্মতলায়। ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে স্কুল, হাসপাতাল ও আদালত-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন কর্মচারীরা। এরপর ১৩ ফ্রেরুয়ারি দিনভর চলে পেন-ডাউন কর্মসূচি। আর এবার রাজ্য ধর্মঘট! কবে? ১০ মার্চ।
এদিন বিধানসভায় ফের ডিএ-র প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো আলাদা। সরকারি কর্মীদের আমার কি না করি। এখনও পর্যন্ত আমরা ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। সব রাজ্য পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই পেনশন দিচ্ছে’।
⦾ Nawsad Siddique: ‘গরু পাচার করা টাকা নেই’, ভাঙা গাড়িতেই বিধানসভায় নওশাদ
এদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের পাশে বিরোধীরা। এদিন বিধানসভা থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় ধরনামঞ্চে যান শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালরা। বাদ যাননি বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও।
বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে রাজ্য। এর আগে মেদিনীপুরে সভায় মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। যেটা পেলে সেটা ধরে রাখতে গেলে, যে টাকার প্রয়োজন, সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, বঞ্চনা করছে। মিথ্যা বলছে। জিএসটির জন্য কেন্দ্র টাকা পাচ্ছে। কিন্তু জিএসটি বাবদ রাজ্যের টাকা দিচ্ছে না’।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।