মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বেশ কিছুদিন ধরেই স্নায়ুরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন মুকুল রায়। এবার তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হল। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের মস্তিষ্কে ফ্লুইডের পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছিল। তাই ব্রেইন শান্টিং করা হল মুকুল রায়ের। বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটনের কাছে বাইপাশ সংলগ্ন এলাকায় একটি হাসপাতালে মুকুল রায়ের ব্রেন শান্টিং করা হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে— Programmable Vetriculo Peritoneal Shunt। মুুকুল রায়ের হাঁটাচলার সমস্যা হচ্ছিল। তাই এই প্রসিডিওর করা হয়েছে। আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি।
⦾National Education Policy: চার বছরের স্নাতক কোর্স! নয়া শিক্ষানীতি চালু করার নির্দেশ শিক্ষা দফতরের
মস্তিষ্কে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রেসার বাড়তে শুরু করে ক্রেনিয়ামের মধ্যে। এর ফলে দেহে ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হয়। রক্তজালিকাও ছিঁড়তে শুরু করে। তাই অবিলম্বে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয় বা বাইপাস করে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে অনেকেরই মস্তিষ্কের ভিতরে ফ্লুইডের অংশ বেড়ে যায়। যার ফলে নানা রোজকার কাজ করতে অসুবিধা হতে শুরু করে রোগীর।
রবিরাই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বর্ষীয়ান নেতাকে। চিকিৎসকেদের আশা এই শান্টিংয়ের ফলে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি। সূত্রের খবর, নিউরোসার্জন এসএন সিং – এই অস্ত্রোপচার করেছেন। স্নায়ুরোগের সমস্যার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর মস্তিষ্কে জল জমছিল। বেশ কয়েকবার সেই জল বার করা হয়। মার্চ মাসে অস্ত্রোপচার দিন ঠিক করেছিলেন চিকিৎসকরা।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ের পর মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। তবে এরপরই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। শুধু মুকুল রায় নয়, তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শুভ্রাংশু রায়ও। তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুর পর শারীরিক এবং মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েন এই নেতা।
⦾Nawsad Siddique: DA-র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অনশনে নওশাদ, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।