⦾ ব্রিটেনের মাটি থেকে বিজেপিকে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। চিন-প্রসঙ্গে ভারতের অ্যাটিটিউডের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাহুল বললেন, ওদের আইডিওলজির মধ্যে একটা ভীরুতা ভর করেছে। সম্প্রতি চিন নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সেটাইকেই সমালোচনা করেছেন সনিয়াপুত্র। বিজপির রাজনৈতিক অভিমুখকে ধুনে রাহুল আরও বলেন– ওদের (বিজেপির) ভাবধারা হল ঘৃণার, হিংসার, অশ্রদ্ধার, মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার।
⦾ Khushbu Sundar: বাবার হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার খুশবু সুন্দর! সাক্ষাৎকারে কী জানালেন বিজেপি নেত্রী?
এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে রাহুল তুলে ধরেন এস জয়শঙ্করের মন্তব্য। রাহুল বলেন, কিছুদিন আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা (ভারত) কী ভীবে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে নামবে, চিন ভারতের চেয়ে ঢের বেশি শক্তিশালী! একটা দেশের সরকারের বুক তার প্রতিবেশীর শক্তির ভয়ে ঢিপঢপ করছে! রাহুল সাভারকরের বইয়ের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি।
⦾ Indian Rupee: খুলছে নতুন দরজা, ভারতীয় টাকায় এবার ব্যবসায়িক লেনদেন করা যাবে শ্রীলঙ্কাতে!
প্রসঙ্গত, এই মাসের শেষ সপ্তাহেই ব্রিটেন গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শোনা গিয়েছিল, এই সফরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণও দেবেন। এ বিষয়ে ট্যুইট করেছিলেন স্বয়ং রাহুল গান্ধীই। জানা গিয়েছিল, ভারত-চিন সম্পর্ক এবং গণতন্ত্রের উপর বক্তৃতা করতেই কেমব্রিজে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। কেমব্রিজের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং গণতন্ত্র বিষয়ক আলোচনাসভায় অংশ নিতেই যাচ্ছেন তিনি।
ট্যুইটটিতে রাহুল লিখেছেন, তিনি তাঁর নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা করতে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। কেমব্রিজকে ‘আলমা মাটার’ উল্লেখ করে ওই ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন– ‘হ্যাপি টু এনগেজ উইথ সাম অফ দ্য ব্রাইটেস্ট মাইন্ডস ইন ভেরিয়াস ডোমেইনস, ইনক্লুডিং জিওপলিটিক্স, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, বিগ ডেটা অ্যান্ড ডেমোক্রেসি।’
এর আগে, ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধী ছত্তীশগঢ়ের রায়পুরে কংগ্রেসে ৮৫তম প্লেনারি সেশনে অংশ নিয়েছেন। এই বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কী রণনীতি দল অনুসরণ করে চলবে তার দিশা ঠিক হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি দলের কিছু কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ভারত-চিন সম্পর্ক এবং মূলত গণতন্ত্রের উপর বক্তৃতা করতেই এবার কেমব্রিজে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী সেই বিষয়টির এই মুহূর্তে প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ভারত-চিন নানা বিষয়ে চাপা উত্তেজনার আবহ চলছে। সদ্য চিন সীমান্ত আরও সুরক্ষিত করতে ভারতে সেখানে বেশ কয়েক হাজার জওয়ান নিয়োগ করেছে। তা ছাড়া, এমনিতেও দুটি শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঠান্ডা লড়াই লেগেই থাকে। ফলে, রাহুল বিষয়টিকে ঠিক কী ভাবে দেখেন, তা জানতে অনেকেই আগ্রহী। তিনি কি এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করবেন, কেন্দ্রকে পরামর্শ দেবেন, নাকি এই ইস্যুটা সযত্নে এড়িয়ে যাবেন?
প্রশ্নগুলির উত্তর অবশ্য মিলে গেল। কেননা, দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী ভারত সরকারের চিন-সংক্রান্ত অ্যাটিটিউডের তীব্র সমালোচক।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।