⦾ গল্প নয়, সত্যিই। তবে সত্যি হলেও গল্পের মতোই শুনতে। ৯টা-৫টার পাকা চাকরি ছেড়ে একেবার শিঙাড়া ব্যবসায়ে নেমে পড়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। আর আজ তাঁরা রোজগার করছেন প্রতিদিন ১২ লক্ষ টাকা করে! বেঙ্গালুরু শহরের ঘটনা। তাঁদের নাম শিখর বীর সিং এবং নিধি সিং। এই দম্পতি মিলে বেঙ্গালুরুতে খুলে ফেললেন ‘সামোসা সিং’ নামের শিঙাড়ার দোকান। যে চাকরি ছেড়ে তাঁরা এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, সেটি যথেষ্ট হাই-পেইড। তা সত্ত্বেও তাঁরা এই ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন।
⦾ বিশ্বের অন্যতম ধসপ্রবণ দেশ! যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে এই সব অঞ্চল…
শিখর বীর সিং বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে এমটেকও করেন। তিনি একটি বায়োটেক জায়ান্ট কোম্পানিতে সিনিয়র বিজ্ঞানীর দায়িত্ব সামলাতেন। তাঁর স্ত্রী নিধি সিং একটি বিজনেস ডেভলেপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটে কাজ করতেন। মন্দ রোজগার করতেন না। পরে তিনি একটি ফার্মা কোম্পানিতে কাজ নেন। সেখানে তাঁর রোজগার আরও বাড়ে। তাঁরা পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এবং ৫টি বছরের দাম্পত্যজীবনের পরে এসে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, এবার তাঁরা নতুন কিছু করবেন। তখনই তাঁরা চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে শুরু করেন শিঙাড়ার দোকান।
⦾ H3N2 Virus: মৃত্যু ৩, অ্যাকটিভ কেস ৫৭! শুধু এই রাজ্যেই আতঙ্কের নতুন নাম H3N2 ভাইরাস…
বিজনেসটা শুরু করতে গিয়ে নিজেদের পরিবারের একটা টাকাও তাঁরা নেননি। পুরোপুরি নিজেদের টাকা লগ্নি করে শুরু করেন শিঙাড়ার দোকান। এজন্য তাঁরা তঁদের স্বপ্নের অ্যাপার্টমেন্টও বেচে দেন। একটা কিচেন আর একটা ফ্যাক্টরি তৈরি করে বেচতে শুরু করে দেন শিঙাড়া।
এখন মাসে তাঁদের রোজগার ৪৫ কোটি টাকা! প্রতি মাসে তাঁরা ৩০ হাজার শিঙাড়া বিক্রি করেন। প্রতিদিন তাঁদের রোজগার দাঁড়ায় ১২ লাখ টাকা। এই দম্পতি শিঙাড়া নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। মাঞ্চুরিয়ান সামোসা, কড়াই-পনির সামোসা ইত্যাদি। এবার তাঁরা তাঁদের বিজনেস নিয়ে নেক্সট লেভেলে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করছেন।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।