বর্তমানে অনলাইনে প্রতারণা বাড়ছে। এবার ব্যাঙ্ক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে পুলিশ ভিন রাজ্য থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হল দয়ারাম খিচর। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ রাজস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। সল্টলেকের পূর্বাচলের বাসিন্দা সুপ্রিয়া মুখোপাধ্যায় পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়া প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে। তার ফোনে একটি মেসেজ পাঠায় প্রতারক। মেসেজে জানানো হয়, তাঁর নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরে ওই প্রতারক নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করে। পরে ওই ব্যক্তি মহিলাকে কেওয়াইসি আপডেট করার কথা বলেন। তার জন্য মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠায় প্রতারক। কিন্তু বিষয়টি প্রথমে একেবারেই বুঝতে পারেননি সুপ্রিয়া। তিনি প্রতারকের কথামতোই লিঙ্কে ক্লিক করেন। এর পরে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। অবশেষে তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন।
পরে ওই মহিলা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে সেই ঘটনায় পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করে। অবশেষে পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলার টাকা রাজস্থানের কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। ওই ব্যক্তি রাজস্থানের সিকর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে দয়ারাম খিচরের নাম জানতে পারে। অবশেষে ঘটনার ১০ মাস পর তাকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, তার থেকে একটি মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড, চেক বুক সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনার সঙ্গে দয়ারাম ছাড়াও আরও করা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার জন্য দয়ারামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পুলিশের তরফে সাইবার ক্রাইম নিয়ে নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি বিধান নগর পুলিশ সাইবার দিদি নামে একটি ম্যাসকট চালু করেছে। যার মাধ্যমে সাইবার প্রতারণা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।