আজ, মঙ্গলবার দোলের দিন সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এখানে তিনি কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে দোল খেলায় মেতে ওঠেন। আবির নিয়ে তিনি কয়েকজনকে গায়ে দেন। তাঁরাও পাল্টা আবিরের টিকা থেকে শুরু করে গায়ে দেন। এভাবেই মাতলেন দিলীপ ঘোষ। এরপর তিনি মেচেদার শান্তিপুরে ভবতারিণী মন্দির এবং হরি মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে মিষ্টিমুখ করলেন সকলের সঙ্গে। তারপর সাংবাদিকদের কাছে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের হস্তক্ষেপে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লিযাত্রার জট কেটেছে। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আকাশপথে দিল্লি নিয়ে যাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ এবং আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। কলকাতায় নিয়ে এসে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে মিলেছে ফিট সার্টিফিকেট। সুতরাং আর কোনও বাধা রইল না কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই টানটান পরিস্থিতিতে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ মেচেদায় দোলের অনুষ্ঠানে এসে সংবাদমাধ্যমে অনুব্রতকে নিয়ে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল লস্যি খাবেন দিল্লিতে গিয়ে। ওখানে সুখেই থাকবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা বীরভূমে নির্বাচন করবেন কি করে! সেজন্য আটকানোর চেষ্টা করছে অনুব্রতকে।’ আর ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাথা নিয়ে কি চচ্চড়ি হবে? মানুষ ডিএ পাছে না। সেটা দরকার।’
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতায় জোকা ইএসআই হাসপাতালে অনুব্রতর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কার্ডিওলজি, সার্জারি এবং মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ কেষ্টকে ইডির হাতে তুলে দেবে। তারপরই তাঁকে নিয়ে আকাশপথে দিল্লি যাওয়ার কথা ইডির। একই মামলায় দিল্লিতে আগেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।