৭২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক সন্দীপ দত্ত। তাঁর প্রয়াণে গোটা সাহিত্য জগৎ, বিশেষ করে লিটল ম্যাগাজিনের পরিসরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সন্দীপবাবু গ্রন্থাগারিক হওয়ার পাশাপাশি লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক হিসেবে বইপাড়ায় সর্বজন বিদিত এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন টেমার লেনে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
১৯৫১ সালের ২৪ জুলাই জন্ম হয়েছিল তাঁর। কলেজ স্ট্রিটের ১৮এম টেমার লেনের বাড়িতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। সেখানেই পরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র। সেন্ট পলস স্কুল এবং তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং বিএড করেন। ২০০০ সাল থেকে একে একে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা – লিটল ম্যাগাজিন ভাবনা, স্ল্যাঙ্গুয়েজ, ভুবনেশ্বরী, বিবাহ মঙ্গল, ভাটা, বাংলা ভাষা বিতর্ক, পত্রপুট, উজ্জ্বল উদ্ধার, অল ইন্ডিয়া লিটল ম্যাগাজিন ভয়েসের মতো লিটল ম্যাগাজিন শুরু হয় তাঁরই হাত ধরে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
কলেজস্ট্রিটের পথে ঘুরে ঘুরেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন পত্রিকাদের তিনি নিয়ে আসতেন নিজের বাড়িতে। ১৯৭০ সালে কলেজে পড়া শুরু করতেই পত্রপুটের সম্পাদনা শুরু করেছিলেন তিনি। পরে কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন মির্জাপুরের সিটি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সন্দীপ। সঙ্গে সারা জীবন ধরেই লিটল ম্যাগাজিন এবং সাহিত্যের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন তিনি। প্রায় দুই মাস আগে সন্দীপবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর জেরে তাঁকে বাইপাসের ধারে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই সন্দীপবাবুর ডায়ালিসিস চলছিল। গ্যাংগ্রিন হওয়ার কারণে একটি পা বাদ দিতে হয়েছিল তাঁর।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।