West Bengal

শতাধিক আইএসএফ কর্মী–সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, হাড়োয়ায় ভাঙন

সদ্য জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিধানসভায় তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তার মধ্যে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হয় বাম–কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বাম নেতারা। এবার হাড়োয়ায় আইএসএফে ভাঙন দেখা দিল। আইএসএফের শতাধিক নেতা–কর্মী আজ, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

আজ, বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি সমস্ত বিরোধীদের এক হতে আহ্বান করেছেন। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজিত করা যায়। কিন্তু আজ বসিরহাটের হাড়োয়া ব্লকের বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙনের ঘটনা ঘটেই গেল। শুধু তাই নয়, বুধবার আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা–কর্মী– সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এই ঘটনায় কার্যত চুপসে গেল নওশাদের শেষ দেখে ছাড়ার হুঙ্কার।

ঠিক কী বলছেন আইএসএফ নেতা?‌ বকজুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে গিয়ে আইএসএফের নেতা–কর্মী–সমর্থকরা যোগদান করেন। তাঁদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফড়িদ জমাদার এবং হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি খালেক মোল্লা–সহ জেলার নেতৃত্বরা। এদিন মিছিল করে সাড়ম্বরে হয় যোগদানপর্ব। দল ত‍্যাগ করে আইএসএফ নেতা সাইফুল মণ্ডল বলেন, ‘‌এই সরকার আসার ফলে সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নের শরিক হতে আমরা আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।’‌ ফলে যেটুকু শক্তি ছিল এই আইএসএফ–এর বসিরহাটে সেটাও শেষ হয়ে গেল।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আইএসএফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার ঘটনায রাজনৈতিকভাবে হাড়োয়ায় তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফড়িদ জমাদার বলেন, ‘‌যেভাবে আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সার্বিকভাবে তথা সব ধর্মের মানুষের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তাতে এমন যোগদান বেড়েই চলবে। আর তারই ফল হিসাবে আজকে আইএসএফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন নেতা–কর্মীরা।’‌

————– সমাপ্ত ————–

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।