মঙ্গলবার দোলের দিন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। সেখানে ৩ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু দিল্লি প্রবাসী অনুব্রতর মাথা থেকে কি হাত তুলে নিতে চলেছে তৃণমূল? বুধবার বিকেলে সংসদের বাজেট অধিবেশনে দলের নীতিনির্ধারণ বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্ত অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত করছে। তবে এব্যাপারে মুখে ‘লিউকোপ্লাস্টার’ লাগিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
অনুব্রতর গ্রেফতারির পর তাঁকে নানা বিশেষণে ভূষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রীসহ তৃণমূল নেতারা। কখনও তাঁকে বলেছেন বীরভূমের বীর, কেউ বলেছেন বাঘ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেষ্ট ছাড়া পেলে তাকে বীরের সম্মান দিয়ে নিয়ে আসবে’। কিন্তু দিল্লি প্রবাসী কেষ্টর বীরত্বে কি ভরসা রাখতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বুধবারের বৈঠকে মমতা, অভিষেক ছাড়াও ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, অনুব্রতকে নিয়ে আগ বাড়িয়ে সংসদে কোনও প্রসঙ্গের উত্থাপনা করবে না তৃণমূল। বিরোধীরা যদি তার নাম নেয় তখন পরিস্থিতি বুঝে রণকৌশল তৈরি করা যাবে।
বলে রাখি, অগাস্টে গ্রেফতার হলেও অনুব্রত এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদে রয়েছেন। যদিও গ্রেফতারির ৭ দিনের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের ব্যাখ্যা পার্থ ও অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব আলাদা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু অনুব্রতর কাছ থেকে এখনো ১ পয়সা নগদ উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। কিন্তু অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতেই কেন অবস্থান বদল? তবে কি কেষ্টর বীরত্বে আর ভরসা রাখতে পারছেন না মমতা?
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।