West Bengal

সায়নী পারছেন না! ক্ষুব্ধ মমতা, ফিরহাদকেও ধমক, দল গোছাতে কড়া

তৃণমূলের অন্দরে একটা কথা প্রায়ই শোনা যেত দলের কে কোথায় কী করছেন সবটাই নাকি জানতে পারেন দলের সুপ্রিমো। আর শুক্রবার সেই সূত্র ধরেই কালীঘাটে দলের বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে রীতিমতো কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কার্যত জানিয়ে দেন দলের কোন নেতা দলীয় কর্মসূচিতে গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন তার খবর দলের কাছে রয়েছে। দিদির দূত কর্মসূচির উপর আরও জোর দেওয়ার জন্যও এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার উপর সাগরদিঘিতে ভরাডুবি। দুর্নীতির নাগপাশে একাধিক নেতা। সব মিলিয়ে দলকে আরও সংগঠিত করাটাই এখন নেত্রীর কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। সেকারণে এদিন একেবারে ধরে ধরে নেতাদের বকাঝকা খেতে হয়েছে বলে খবর।

তবে সূত্রের খবর, এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা ফিরহাদ হাকিমের অতি কথা বলার প্রবনতাকে চেপে ধরেন। তিনি জানিয়ে দেন,  বেশি কথা বলছেন। পুরসভার বাইরে অন্য় কোনও কথা না বলার জন্য় তিনি সতর্ক করে দেন। সেই সঙ্গেই পুরসভার বাইরে কোনও কথা বললে তা নিয়ে যেন নেত্রীর অনুমতি নেওয়া হয় সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি। 

এদিকে দলের যুব সভানেত্রীর কাজকর্মে যে মমতা একেবারেই সন্তুষ্ট নন এদিন সেটাও জানিয়ে দেন তিনি। মমতা অভিযোগ করেন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সায়নী ব্যর্থ। তবে সায়নী জানিয়ে দেন, আগামী দিনে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। এর সঙ্গেই তিনি সকলের সামনে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে এদিন মমতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের হাতে বাড়তি দায়িত্ব দেন। এদিকে একটা সময় মমতার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন সায়নী। তাকে একেবারে দলের যুব সংগঠনের  দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। এদিকে সায়নীর সঙ্গে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের একফ্রেমে ছবি থাকাকে কেন্দ্র করেও নানা কথা উঠেছিল। এনিয়ে দলের অন্দরে অস্বস্তি দানা বেঁধেছিল। এবার সেই সায়নী সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারেননি বলে অভিযোগ তুললেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার কতদিন সায়নী ওই চেয়ারে থাকতে পারবেন তা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিল। এর সঙ্গেই দলীয় নেতাদের আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য় নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। পাশাপাশি ফাঁকিবাজ নেতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।