রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশংকর রায়ের বাড়ি ঐতিহাসিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বাড়িকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে সংরক্ষণ করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে এবিষয়ে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সী জানান, যে কোনও মূল্যে ভবনটির ঐতিহাসিক মূল্য রক্ষার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বাড়িটি হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উপযুক্ত বলে তিনি জানান।
তবে বাড়িটিকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে সংরক্ষণ করা সহজ কাজ হবে না বলে মনে করছে পুরসভা। কারণ বাড়িটি হল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। বর্তমানে বাড়িটিকে হোমস্টে হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ফলে সিদ্ধার্থবাবুর উত্তরাধিকারীরা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সিদ্ধার্থশংকর রায়ের নাতি আয়ান রায় জানিয়েছেন, ‘এখনও পুরসভার তরফে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। যদি পুরসভা নোটিশ দেয় তাহলে আমি এর জবাব দেব।’ প্রসঙ্গত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশংকর রায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২০ সালে। তার ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯০০ সালে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রখ্যাত ব্যারিস্টার সুধীর কুমার রায়। এই বাড়িতে রয়েছে একটি অফিস এবং লাইব্রেরি। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছাড়াও পন্ডিত রবিশংকর এই বাড়িতে এসেছিলেন। দোতলা এই বাড়িটি লাল রঙের হওয়ায় অনেকের কাছে এটি ‘লালবাড়ি’ হিসেবে পরিচিত।
গত সপ্তাহে পুরসভার হেরিটেজ সংরক্ষণ বিভাগের আধিকারিকরা ভবনটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা এর অবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। আধিকারিকরা বাড়ির বর্তমান মালিকদের একজনের সঙ্গে কথাও বলেছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবনের স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক মূল্যের ভিত্তিতে হেরিটেজ তকমা পাওয়া উচিত। উল্লেখ্য, হাজরা রোডে ১৮ কাটা জমি জুড়ে রয়েছে এই বাড়িটি।
এখন বাড়িটিকে হোমস্টে হিসেবে ভাড়া দিয়ে থাকে ওই পরিবার। এর দুটি ঘরে ৬ জন থাকার সুযোগ রয়েছে। বাড়ির লাইব্রেরিতে রয়েছে বিভিন্ন আইনের বই এবং উপন্যাস। এর মধ্যে কিছু বই বহু পুরনো। এছাড়াও ওই বাড়ির অফিসে ইন্দিরা গান্ধী, মুজিবুর রহমান, বিল ক্লিনটন এবং দালাই লামার অটোগ্রাফও ফ্রেমবন্দি রয়েছে।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।