গায়ে ডোরাকাটা দাগ। গর্জনও বাঘের মতো। চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল এরকমই দেখতে চারটি বাঘের শাবক। ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল জেলার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িইয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। অন্যান্য বন্য প্রাণীদের থেকে বাঘের শাবকগুলিকে রক্ষা করার জন্য গ্রামবাসীরা প্রথমে বাঘের শাবকগুকিকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। খবর পেয়ে আটমাকুর বন বিভাগের বনকর্মীরা এসে বাঘের শাবকগুলিকে নিয়ে যান। নান্দিয়াল জেলার পেদ্দা গুম্মাদাপুরম গ্রামের মাঠ থেকে ওই চারটি বাঘের শাবক উদ্ধার হয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বনকর্মীরা শাবকগুলিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। শাবকগুলি সুস্থ রয়েছে এবং তাদের বয়স ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে। একজন বন আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘের শাবকগুলিকে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, শাবকদের সন্ধানে বাঘিনী পুনরায় এলাকায় আসতে পারে। সেই আতঙ্কে এখন দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। বনকর্মীদের অনুমান, বাঘিনীটি ওই এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণহানী আটকাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঘিনীটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। এর জন্য বেশ কয়েকটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
একজন আধিকারিক বলেছেন, বাঘিনী শাবকগুলিকে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছে নাকি তাদের জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার আসতে পারে তা জানা যায়নি। এলাকার বনবিভাগের অতিরিক্ত প্রধান সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) শান্তি প্রিয়া পান্ডে বলেন, ‘কীভাবে শাবকগুলি সেখানে পৌঁছেছিল তা এখনও আমাদের কাছে কিছুটা রহস্যময়।’ তবে শাবকগুলি জঙ্গলে ফিরে গেলে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে বাঘিনী যদি শাবকগুলিকে নিতে ফিরে না আসে তাহলে তাদের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।