Nation & World

‘আদানি নিয়ে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্ত চায় না তৃণমূল’, দলের

আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলেছে। এই নিয়ে তোলপাড় সংসদ। তবে তৃণমূল সেই পথে হাঁটছে না। তবে আদানি ইস্যুতে তারাও চুপ বসে নেই। এসবিআই, এলআইসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, সংসদের সামনে ধরনা দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদরাও। তবে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তে কেন আপত্তি মমতার দলের? এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। (⦾ ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের ‘লোভী’ আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি)

ডেরেকের বলেন, ‘আদানি বিতর্ক ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্ত চাই আমরা। অন্যান্য বিরোধী শক্তিগুলো যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত চাইলেও তৃণমূল সে পথে হাঁটছে না। কারণ, যুগ্ম সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন-সহ অধিকাংশ সদস্য বিজেপির। তাই যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত হলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।’ ডেরেক আরও বলেন, ‘আদানির সম্পত্তি ক্ষয়ের জেরে জীবন বিমা নিগম এবং এসবিআই-তে যে সাধারণ মানুষের টাকা রয়েছে, তা কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে, সে নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চাই আমরা।’

⦾ নবান্নর ডিএ আন্দোলনকারীদের নিজে চিনে নিতে চান মমতা, নেবেন কি কড়া ব্যবস্থা?

গতকাল দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ডেরেক বলেন, ‘রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ সংসদকে অন্থকার চেম্বারে পরিণত করেছেন। ওঁরা সংসদকে সুষ্ঠভাবে চলতে দিতে চান না। কারণ সংসদ এবং মানুষ উভয়ের কাছেই ওরা সমানভাবে দায়ী। আর মানুষের দুর্ভোগের দায় ওরা নিতে চায় না বলে সংসদকে অচল করার চেষ্টা করছে। প্রায় চার বছর ধরে ডেপুটি স্পিকার ছাড়াই সংসদের নিম্ন কক্ষের কার্যক্রম চলছে। রাজ্যসভা হোক কিংবা লোকসভা, সংসদের কোনও কক্ষেই ২০১৬ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। এবারও সংসদের দুই কক্ষে বিশৃঙ্খলা করে বিরোধীদের প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।