শুক্রহার দিল্লিতে আয়োজিত হয় ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি গ্রুপ’ বা কোয়াড-ভূক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠক। এদিনের বৈঠকে আলাদা করে গুরুত্ব সহকারে উঠে আসে ইউক্রেন সংঘাত। একযোগে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে স্থির হয়, কোনও মতেই পরমাণু হামলার হুমকিকে ইউক্রেন যুদ্ধের নিরিখে মেনে নেওয়া হবে না। এছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সংলগ্ন এলাকায় একতরফা পদক্ষেপকেও কোনও মতে মেনে নেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয় কোয়াড বৈঠকে।
কোয়াডভূক্ত দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সমবেতভাব বিদেশমন্ত্রীদের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিবৃতি প্রকাশিত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে, ইন্দো পেসিফিক এলাকায় যে সমস্ত চ্য়ালেঞ্জ ছিল সেগুলির সঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে একমত হন দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। এই বিষয়ে কোয়াড ওয়ার্কিং গ্রুপের গঠনের কথাও উঠে আসে। যে গোষ্ঠী সন্ত্রাস দমনে বড় ভূমিকা নেবে। এছাড়াও নতুন নতুন ধরনের সন্ত্রাসের মোকাবিলাও এই গোষ্ঠী যাতে করতে সমর্থ হয়, তার চেষ্টার কথা বলা হয়। উল্লেখ্য, শুক্রবারের এই বৈঠকের পৌরহিত্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পনি ওং, জাপানের ইয়োশিমাশা হায়াশি, মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। বৈঠকে কার্যত ঝোড়ো আলোচনা হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে। ( হাওয়াই চটি খুঁজে না পেয়ে চুরির অভিযোগ তুললেন মহিলা! মারধরে মৃত্যু ব্যক্তির)
এদিনের বৈঠকে ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে সমবেত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সম্মত এই বিষয়ে, যে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি অগ্রহণযোগ্য।’ এছাড়াও চিনা ও কুশ আগ্রাসনকে ফোকাসে রেখে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, স্বচ্ছতা এবং বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সম্মান করতে হব।’ ইউক্রেন ইস্যুতে বলা হয়, ‘ রাষ্ট্রসংঘের সনদ সমেত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইউক্রেনে একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া দরকার।’
উল্লেখ্য, কোয়াড বৈঠকের পর ‘রাইসিনা ডায়লগ’ এ অংশ নেন ওই চার দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। সেই ‘রাইসিনা ডায়লগ’ এ মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেন,’আমরা যদি দায় মুক্তি মনোভাবের সঙ্গে রাশিয়া ইউক্রেনে যা করছে তা করার অনুমতি দিই, তাহলে বার্তা যাবে যে আগ্রাসনকারীরা প্রতিটি জায়গায় একই কাজ করে পার পেয়ে যাবে।’
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।