বাংলাদেশের সিলেট এলাকার ভাষা এতটাই কঠিন , যে যাঁরা জানেন বা বোঝেন তাঁরা বাদে সব বাঙালির চট করে এই ভাষা বুঝে নেওয়া কঠিন! মূলত, সিলেটি ভাষার কোনও নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট নেই। ফলে এই ভাষার স্বীকৃতি ঘিরেও রয়েছে নানান চর্চা। সেই সিলেটি ভাষা ঝরঝর করে বলে চলেছেন লন্ডনের মহিলা চিকিৎসক অ্যান লিভিংস্টোন।
লন্ডনের মহিলা চিকিৎসক অ্যান লিভিংস্টোনের এমন বাংলা বলার ঘটনা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অ্যান লিভিংস্টোন তাঁর এই সিলেটি বাংলা বলার নেপথ্যের কাহিনি জানিয়েছেন। যা শুনে চমকে উঠেছেন অনেকেই! ফলে শুধু যে বাঙাল ঘরের মেয়েই বাংলা ভাষা বলতে পারেন, তা নয়! বরং সাত সমুদ্র পাড়ের এই বিদেশিনীও তাক লাগিয়ে গড়গড় করে বলে চলেছেন সিলেটি বাংলা। (প্রশ্ন ছিল নিরপেক্ষতা নিয়ে, ‘অগ্নিপরীক্ষা’র প্রসঙ্গ তুলে জবাব রাজীব কুমারের)
চিকিৎসক লিভিংস্টোন জানাচ্ছেন, আশির দশকে তাঁর কাছে আসা রোগীরা অনেকেই ইংরেজি বলতে পারতেন না। শুধুমাত্র বাংলা জানতেন তাঁরা। আর রোগীদের কথা বুঝতে গিয়ে ‘চিকিৎসক’ লিভিংস্টোনকেও শিখতে হয়েছে সিলেটি বাংলা। টুইটারে এই আলোচনাই চলছে যে, কত সহজে কত সরলভাবে তিনি এই বাংলা বলা শিখে গিয়েছেন। এবং বাংলার এমন এক আঞ্চলিক ভাষাকে আপন করে নিয়েছেন অ্যান যে ভাষা সহজে বলা কঠিন।বহু বাঙালি নেটিজেন বলছেন, তাঁরা নিজেরাও এই ভাষা এতটা সহজে বলে উঠতে পারেন না। সেখানে একজন বিদেশিনীর কণ্ঠে নিজের ভাষার এমন বোল শুনে আপ্লুত বহু বাঙালি নেটনাগরিক।
বলা হয়, ইন্দো-আর্য জাতিগোষ্ঠীর অনেকে এই সিলেটি ভাষায় কথা বলেন। বাংলাদেশের সিলেট এলাকা ছাড়াও, মেঘালয়, ত্রিপুরার বহু অংশে এই ভাষায় কথা বলেন মানুষ। এমনকি তথ্য সমূহ বলছে, ইউকেতে এই ভাষায় কথা বলেন অনেকেই। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সিলেটিরা ছড়িয়ে রয়েছেন বলেও জানা যায়। ২০০৮ সালের একটি তথ্য বলছে, ব্রিটেনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সিলেটি প্রবাসী বসবাস করেন। সংখ্যাটাও নেহাত মন্দ নয়। ৫,০০,০০০ সিলেটি ভাষাভাষির মানুষ সেখানে বসবাস করতেন বলে ২০০৮ সালের তথ্যে জানা যাচ্ছে।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।