আসছে বিধানসভা নির্বাচন। এরই মাঝে রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে সন্দিহান কংগ্রেস। নেপথ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া এবং দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। রাজস্থানের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের সঙ্গে অশোক গেহলটের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। এই আবহে হাতের সবকটি আঙুল একসঙ্গে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। এই আবহে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শনিবার বলেছেন যে তাঁর এবং সচিন পাইলটের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য বা মতভেদ নেই এবং তাঁরা উভয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। (⦾ ডিএ ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, পালটা পদত্যাগ করে প্রতিবাদ ২২ অধ্যাপকের)
অশোক গেহলট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কোন মতভেদ নেই… আমাদের দলে ছোটখাটো মতপার্থক্য ঘটতেই থাকে। প্রতিটি রাজ্যেই সব দলেই এমনটা হয়। তবে আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, জয়ী হয়ে সরকার গঠন করব। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। দলে এই ঐতিহ্যই রয়েছে এবং সেই ঐতিহ্য অব্যাহত থাকবে।’
⦾ ডিএ আন্দোলনকারীরা এবার স্তব্ধ করবেন মহানগরী, বৃহত্তর আন্দোলনের ইঙ্গিত?
এদিকে কংগ্রেস বিধায়কদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজস্থানে ১৯টি নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করেছেন। ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো এই রাজ্যে নতুন করে জেলা তৈরি করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের আগে রাজস্থানে ৩৩টি জেলা ছিল। নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট বলেন, ‘রাজস্থান ভৌগলিকভাবে দেশের বৃহত্তম রাজ্য। তবে এই রাজ্যে এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে দুই প্রান্তের মধ্যে দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এর দেরে লোকেদের সরকারি পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়। জেলাগুলো ছোট হলে তা প্রশাসনিক ভাবে কার্যকরী হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্য করবে।’ গেহলটের যুক্তি, ‘সরকার প্রতিটি বাড়ি ও পরিবারের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারছে না। এই সমস্যা দূর করার জন্যই নতুন করে ১৯টি জেলা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
নতুন যে ১৯টি জেলা ঘোষণা করা হল, সেগুলি হল- অনুপগড় (আগে গঙ্গানগরের অংশ ছিল), বালোত্রা (আগে বারমেরের অংশ ছিল), বেওয়ার (আগে আজমেরের অংশ ছিল), কেকরি (আগে আজমেরের অংশ ছিল), দীগ (আগে ভরতপুরের অংশ ছিল), দিদওয়ানা-কুচামান (আগে নগৌরের অংশ ছিল), দুদু (আগে জয়পুরের অংশ ছিল), গঙ্গাপুর (আগে সোয়াই মাধোপুরের অংশ ছিল), জয়পুর উত্তর, জয়পুর দক্ষিণ, যোধপুর পূর্ব, যোধপুর পশ্চিম, কোটপুতলি-বেহরোর (আগে জয়পুর এবং আলওয়ারের অংশ ছিল), খেরতাল (আগে আলওয়ারের অংশ ছিল), নিম কা থানা (আগে সিকরের অংশ ছিল), ফালোরি (আগে যোধপুরের অংশ ছিল), সালুম্বের (আগে উদয়পুরের অংশ ছিল), সাঞ্চোর (আগে জলোরের অংশ ছিল) ও শাহপুরা (আগে ভিলওয়ারের অংশ ছিল)।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।