Nation & World

‘কখনও ঋণ খেলাপি করিনি’, দাবি করলেন ‘দেউলিয়া’ পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী

বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি রয়েছে। রয়েছে খাদ্য সংকট। এহেন পরিস্থিতিতে থাকা পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার শুক্রবার বলেছেন যে তাঁর দেশ ‘কখনও ঋণ খেলাপি করেনি এবং আমরা এখনও ঋণ খেলাপি করব না’। প্রসঙ্গত, আইএমএফ-এর থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ‘স্বচ্ছতা’ তুলে ধরতে মরিয়া পাকিস্তান। এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপরই এই পরিস্থিতির দায় চাপান পাক অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইমরানের সময়কালে অব্যবস্থাপনা এবং দুঃশাসনই পাকিস্তানের বর্তমান দুর্দশার কারণ।’

এদিকে বর্তমানে পাকিস্তানে পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে সেখানে আটা কেনার জন্য মানুষ জনকে মারামারি করতে দেখা গিয়েছে। জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। এরই মাঝে এবার জানা গিয়েছে যে পাকিস্তানি সরকার সেদেশের সেনাকেই দু’বেলা ঠিককরে খাওয়াতে পারছে না। অর্থনৈতিক সংকটের আবহে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে হয়েছে। এই আবহে সেনার খাবারেও কোপ পড়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন ফিল্ড কমান্ডাররা কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের অফিসে চিঠি পাঠিয়ে খাবারের অভাবের কথা জানিয়েছে। সামরিক অফিসাররা খাদ্য সরবরাহ এবং লজিস্টিক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিফ অফ লজিস্টিক স্টাফ এবং ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরের কাছেও বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের কাছে হাত পেতেছে শেহবাজের সরকার। তবে তাও নিস্তার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পাক সরকার। আইএমএফ বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই আবহে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ইতিমধ্যেই মিনি বাজেট পেশ করেছে পাকিস্তান। আমজনতার ওপরে করের বোঝা চাপিয়েছে পাক সরকার। বাড়ানো হয়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। এরই মাঝে পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছিলেন যে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। তিনি জানান, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানকে এই টাকা দিয়েছে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। এই আবহে ‘বিশেষ বন্ধু’ চিনকে ধন্যবাদ জানান পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানান, এবার মন্ত্রী ও সরকারি পরামর্শদাতাদের ভাতা ও যাতায়াতের খরচে কাটছাঁট করা হবে। এদিকে পাক মন্ত্রীদের দামি দামি গাড়ি ব্যবহার, বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট কাটার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এর ফলে সরকারের মোট ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় হবে। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ৬০০ কোটিরও বেশি।

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।