কংগ্রেস বিধায়কদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শুক্রবার রাজস্থানে ১৯টি নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করলেন। ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো এই রাজ্যে নতুন করে জেলা তৈরি করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের আগে রাজস্থানে ৩৩টি জেলা ছিল। নতুন জেলা গঠনের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট বলেন, ‘রাজস্থান ভৌগলিকভাবে দেশের বৃহত্তম রাজ্য। তবে এই রাজ্যে এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে দুই প্রান্তের মধ্যে দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এর দেরে লোকেদের সরকারি পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়। জেলাগুলো ছোট হলে তা প্রশাসনিক ভাবে কার্যকরী হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্য করবে।’ (⦾ ৩০টি মার্কিন শহরকে ‘চুনা লাগাল’ নিত্যানন্দের কৈলাস, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে)
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সরকারের এই ঘোষণার পরই সমালোচনায় সরব হয়েছে সেরাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য নয়, অশোক গেহলট নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিথার্ত করতেই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই প্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে বলেন, ‘যেভাবে হঠকারিতায় নতুন জেলা ঘোষণা করা হল, তাতে রাজ্য বাজেট ও রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়তে চলেছে। নতুন জেলা ঘোষণার সময় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক কাজ সহজ তো করবেই না, বরং তা আরও কঠিন করে তুলবে। গেহলট সরকার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের জন্যই এই ঘোষণা করেছে।’ যদিও গেহলটের যুক্তি, ‘সরকার প্রতিটি বাড়ি ও পরিবারের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারছে না। এই সমস্যা দূর করার জন্যই নতুন করে ১৯টি জেলা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
⦾ IMF থেকে ঋণ পেতে পাকিস্তানকে ছাড়তে হবে পারমাণবিক কর্মসূচি, কী বলছে ইসলামাবাদ?
নতুন যে ১৯টি জেলা ঘোষণা করা হল, সেগুলি হল- অনুপগড় (আগে গঙ্গানগরের অংশ ছিল), বালোত্রা (আগে বারমেরের অংশ ছিল), বেওয়ার (আগে আজমেরের অংশ ছিল), কেকরি (আগে আজমেরের অংশ ছিল), দীগ (আগে ভরতপুরের অংশ ছিল), দিদওয়ানা-কুচামান (আগে নগৌরের অংশ ছিল), দুদু (আগে জয়পুরের অংশ ছিল), গঙ্গাপুর (আগে সোয়াই মাধোপুরের অংশ ছিল), জয়পুর উত্তর, জয়পুর দক্ষিণ, যোধপুর পূর্ব, যোধপুর পশ্চিম, কোটপুতলি-বেহরোর (আগে জয়পুর এবং আলওয়ারের অংশ ছিল), খেরতাল (আগে আলওয়ারের অংশ ছিল), নিম কা থানা (আগে সিকরের অংশ ছিল), ফালোরি (আগে যোধপুরের অংশ ছিল), সালুম্বের (আগে উদয়পুরের অংশ ছিল), সাঞ্চোর (আগে জলোরের অংশ ছিল) ও শাহপুরা (আগে ভিলওয়ারের অংশ ছিল)।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।