নেপালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে যে জল্পনা ছিল, সেই অঙ্কই কার্যত মিলে গেল বাস্তবের সঙ্গে। শেষমেশ, নেপালি কংগ্রেসের প্রার্থী রামচন্দ্র পাউদেল নেপালের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন। নেপালের রাজনৈতিক আঙিনার ৮ পার্টি একত্রে এই প্রার্থীকে নেপালের রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন যুগিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই গোটা ঘটনার নিরিখে, নেপালের রাজনীতিতে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দাপট খানিকটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কার্যত ওলিকে সাইডলাইন করেই রামচন্দ্র পাউডেলকে প্রার্থী হিসাবে সমর্থন যোগানোর বার্তা দিয়েছিলেন সেদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দাহাল। মনে করা হচ্ছে, নেপালের রাজনীতিতে সহযোগী দলের ওলিকে ব্যাকফুটে রাখতেই দাহালের সেই স্টান্স ছিল। আর, সেই ছকই কার্যত বাস্তবায়িত হয়ে নেপালে তৃতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতির কুর্সিতে বসলেন রামচন্দ্র পাউদেল। এদিনের ভোটে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুবাস চন্দ্র নেমব্যাঙ্গকে ১৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেন পাউদেল। পাউদেল নিজে পেয়েছেন ৩৩,৮০২ টি ভোট। সুবাস চন্দ্র নেমব্যাঙ্ক পেয়েছেন, ১৫,৫১৮ টি ভোট। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮৮২ সংখ্যক। সংসদের ৩৩২ জন ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সাত প্রভিন্সের প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলিগুলি থেকে ৫৫০ জন নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নেন। এই ভোট পর্বে ৭৮ বছর বয়সী বিদ্যাদেবী ভান্ডারির নেপালের রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ শেষ হতেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তোরজোড় শুরু হয়।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক রামচন্দ্র পাউদেলের সম্পর্কে কিছু তথ্য একনজরে:
১) শুধু নেপালি কংগ্রেসের নেতাই নন, তিনি সেন্ট্রাল কমিটির নেতাও। তিনি নেপালের সাহিত্যজগতেরও স্বনামধন্য নাম। যাঁর নামে বহু বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বহু সাহিত্য সম্মানে তিনি ভূষিত।
২) নেপালের নিম্নকক্ষের স্পিকার ছিলেন পাউদেল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সেদেশের সংসদে সাংসদ হিসাবে এলাকার প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।
৩) কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে সাহিত্যে স্নাতোকোত্তর পাশ করেন রামচন্দ্র পাউদেল। পঞ্চায়েত বিরোধী নেতা হওয়ার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়। আটক থাকা অবস্থাতেই তিনি পরীক্ষায় বসেন।
৪) নেপালের প্রত্যন্ত তানহুন গ্রামে কৃষক পরিবারের সদস্য হিসাবে উঠে আসেন নেপালের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। পাঁচ সন্তানের বাবা রামচন্দ্র পাউদেল এবার নেপালের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলেন।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।