Nation & World

পাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ভিডিয়ো বন্দি করার সময়ই আচমকা লাগল

চলছিল গুলির লড়াই। আর ছাদ থেকে দেখতে দেখতে তার ভিডিয়ো করছিলের বিএড পড়ুয়া আশিস। আচমকা গুলি গিয়ে লাগে আশিসের গায়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্য়ু হয়েছে আশিসের। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরের নউগাছিয়া এলাকায়।

এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছিল সংঘর্ষ। আর সেই দৃশ্য ছাদ থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন বিএড পড়ুয়া আশিস কুমার। মুহূর্তে তাঁর গায়ে এসে লাগে গুলি। লুটিয়ে পড়েন আশিস। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে, আশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। যে ভিডিয়ো আশিস তুলে ধরেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে, দুটি গোষ্ঠী একে অপরের দিকে বন্দুক তাক করে এগোচ্ছে। যাঁরা রাস্তায় ওই সংঘর্ষের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই হাতে ছিল বন্দুক। জানা গিয়েছে, স্থানীয় নেতার সমর্থকদের মধ্যেরই দুটি  গোষ্ঠী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই সময়ই, আশিস ও তাঁর ভাই সচিন ছাদে ওঠেন এই সংঘর্ষ দেখতে। মুহূর্তে নিজের ফোন থেকে আশিস সমস্ত ঘটনার ভিডিয়ো তুলতে থাকেন। ততক্ষণে গুলির যুদ্ধ তুঙ্গে। এমন সময়ই আশিসের গায়ে আচমকা লাগে একটি গুলি। সচিন জানাচ্ছেন, চোখের সামনে দেখেন ভাইকে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়তে। একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশিস। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথা অনুযায়ী, নবগাছিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান প্রীতি সিংহের স্বামী ডাব্লিউ যাদবের বিরুদ্ধে এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তালিকায় ছিলেন ডাব্লিউ যাদবের ভাই পাপ্পু সমেত আরও অনেকে। ( বিজেপি ছেড়ে শরিক এআইএডিএমকে-তে তাবড় তামিল নেতা! জোট-সম্পর্ক কোনপথে?)

এই ঘটনা ঘিরেই আশিস কুমারের বাড়ির নিচে জমায়েত হয়। তখনই মৃত্যু হয় আশিসের। প্রয়াত আশিস কুমারের বাবা প্রদীপ পণ্ডিতের স্থানীয় এলাকায় একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের মালিক। আশিসের গুলিবিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত গোটা ঘটনা ধরা পড়ে ক্যামেরায়।

————– সমাপ্ত ————–

 

 

 

 

 

 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।