আগেও মঙ্গল গ্রহ থেকে সূর্যের রশ্মি পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু এবার যতটা স্পষ্টভাবে মঙ্গল গ্রহ থেকে সূর্যের রশ্মি দেখা গেল, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। এমনই জানাল ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তরফে সেই ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মঙ্গল গ্রহ থেকে সেই সূর্যের রশ্মির সেই ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
গত মাসে লাল গ্রহ থেকে সূর্যের রশ্মির দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি রোভার। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি যখন সূর্যাস্ত হচ্ছিল, তখন মেঘের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হচ্ছিল। সেইসময় অবিশ্বাস্য দৃশ্যের ছবি ধরা পড়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি রোভারের ক্যামেরায়। যে মঙ্গলযান গোধূলি সময় মেঘের উপর সমীক্ষা চালাচ্ছে।
⦾ Worm Moon on Dol Purnima 2023: দোল পূর্ণিমায় ভারতে দেখা যাবে ‘Worm Moon’! এই ‘স্পেশাল’ চাঁদের কাহিনি চমকপ্রদ
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের জন্য মেঘের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। যা আবহাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। যা মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রেও প্রয়োজ্য। তাই মেঘের মাধ্যমে মঙ্গল নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল গ্রহের কখন এবং কোথায় মেঘ তৈরি হয়, তার ভিত্তিতে লাল গ্রহের বায়ুস্তরের উপাদান, তাপমাত্রা এবং বাতাস-সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন তাঁরা।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কিউরিওসিটি রোভারের সাদা-কালো নেভিগেশন ক্যামেরায় আরও একাধিক ছবি তোলা হয়েছে। যা মেঘের গঠন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। তবে গত জানুয়ারিতে যে সমীক্ষা শুরু হয়েছে, তা মার্চের মাঝামাঝি সময় শেষ হতে চলেছে।
⦾ NASA Mars mission: ১০টি টাইটেনিয়াম টিউব রাখা হল মঙ্গলের মাটিতে, কী কাজ করবে এরা, জানাল নাসা
সেইসঙ্গে নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মাস্ট ক্যামেরার উপর নির্ভর করে রোভার। তা দিয়ে বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা চালাতে পারবেন। সূর্যের রশ্মির যে ছবি তুলেছে, সেগুলি ছাড়াও চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি কয়েকটি পালকের মতো দেখতে রঙিন মেঘের ছবি তুলেছিল নাসার মঙ্গলযান কিউরিওসিটি রোভার। মেঘের উপর সূর্যের রশ্মি পড়লে সেগুলি রামধনুর মতো দেখতে লাগবে বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছে।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।