হাতেনাতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন বিজেপি বিধায়কের ছেলে। পরে তাঁর অফিসে হানা দেওয়া হলে সেখান থেকেও উদ্ধার হয় ২.২ কোটি টাকা নগদ। এরপর বিধায়ক পুত্রের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। আর সেখান থেকেও উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম প্রশান্ত কুমার। তিনি বেঙ্গালুরু জল সরবরাহ এবং নিষ্কাশন বোর্ডের প্রধান অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত। ধৃত প্রশান্তের বাবা বিরূপাক্ষপ্পা কর্ণাটকের দাভাঙ্গেরে জেলার চান্নাগিরির আসনের বিধায়ক। প্রশান্ত ২০০৮ সালের ব্যাচের কর্ণাটক প্রশাসনিক সার্ভিসের অফিসার। আপাতত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। (⦾ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জটিলতা চরমে, এবার কি ডিএ দিতে বাধ্য হবে সরকার?)
জানা গিয়েছে, ঘুষ নেওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টের অফিস থেকে প্রশান্তকে গ্রেফতার করেন লোকায়ুক্ত আধিকারিকরা। সরকারি সেই আমলার কাছ থেকে সেই সময় মোট ৪০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, কর্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টের অফিস থেকে গতকাল তিন ব্যাগ ভরতি নগদ টাকা উদ্ধার করেছিলেন লোকায়ুক্ত আধিকারিকরা। কর্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টকে কাঁচামাল বিক্রির জন্য এক কন্ট্র্যাক্টরকে বরাত দেওয়ার নামে এই ঘুষ নিচ্ছিলেন প্রশান্ত। এদিকে র্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টের চেয়ারম্যান ধৃত প্রশান্তের বাবা বিরূপাক্ষপ্পাই।
অভিযোগ উঠেছে, কর্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টকে কাঁচামাল বিক্রির বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য কন্ট্র্যাক্টরের থেকে ৮১ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন প্রশান্ত। এই আবহে এক সপ্তাহ আগে লোকায়ুক্তের দ্বারস্ত হয়েছিলেন সেই কন্ট্র্যাক্টর। এরপরই প্রশান্তকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল কর্ণাটক সাবান এবং ডিটারজেন্টের অফিসেই। বিধায়কপুত্রের বাড়ি থেকে মিলল ৬ কোটি টাকা। তাঁর অফিসেও হানা দিয়ে মেলে ২.২ কোটি টাকা নগদ। ভোটমুখী কর্ণাটকে এভাবে শাসকদলের বিধায়কের নাম ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠতে চলেছে। এই আবহে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে যে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার দুর্নীতিতে জড়িত।’
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।