নাম না করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ইন্ডিয়া টুডের আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের সাফল্যে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন। তাই ভারতীয় গণতন্ত্রকে আক্রমণ শানানো হচ্ছে।’ মোদী শনিবার বলেন, ‘দেশ যখন আত্মবিশ্বাস ও সংকল্পে ভরপুর এবং বিশ্বের বুদ্ধিজীবীরা ভারত সম্পর্কে আশাবাদী, তখন হতাশার বাণী শোনানো হচ্ছে। দেশকে নেতিবাচক আলোতে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এবং দেশের মনোবলকে আঘাত করা হচ্ছে।’ মোদী এদিন আরও বলেন, ‘আগে লাখ লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামতেন। তা নিয়েই খবরের শিরোনাম হত। আর এখন হেডলাইন হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্তরা রাস্তায় নেমে ধরপাকড়ের প্রতিবাদ করছেন।’ (⦾ দমদম থেকে ছুটতে শুরু করল নতুন মেট্রো, চিনে তৈরি এই ‘ডালিয়ান’ রেকের বিশেষত্ব কী?)
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘দেশে যখন শুভ কিছু ঘটে, তখন কালো টিকা লাগানোর প্রথা আছে। তাই যখন অনেক শুভকাজ ঘটছে, তখন কিছু লোক এই কালো টিকা লাগানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ভারত থেকে লুঠ করে নিয়ে যাওয়া জিনিস কোন দেশ আগে ফিরিয়ে দেবে, তা নিয়ে একাধিক দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। গোটা বিশ্ব যখন বলছে এবার ভারতের এগিয়ে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে। তখন এখানে কিছু মানুষ শুধুমাত্র হতাশার কথা শোনাচ্ছেন। ভারতকে নীচে টেনে নামাতে চাইছেন। আদামের দেশে কালো টিকা লাগানোর একটি প্রবণতা রয়েছে। সেই দায়িত্বটাই নিয়েছেন একজন।’
⦾ ‘দুর্নীতি করে থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না’, আদানি ইস্যুতে বললেন অমিত শাহ
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ব্রিটেন সফরে গিয়ে বারবার ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন রাহুল গান্ধী। ব্রিটিশ সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সংসদের কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুল গান্ধী লন্ডনের হাউস অফ পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের বলেন যে লোকসভায় বিরোধীদের নীরব রাখতে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বক্তৃতা দেওয়ার সময় মজার ছলে হাউস অফ কমন্সের গ্র্যান্ড কমিটি রুমে একটি অকেজো মাইক তুলে ধরে রাহুল গান্ধী ‘ভারতে বিরোধীদের অবস্থা’ বোঝান। রাহুল বলেন, ‘আমাদের মাইকগুলি অকেজো নয়, সেগুলি কাজ করে। কিন্তু আপনি সেগুলি চালু করতে পারবেন না। আমি যখন কথা বলি, তখন আমার সাথে এটা (মাইক বন্ধ করে দেওয়া) বেশ কয়েকবার ঘটেছে।’ এদিকে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর লন্ডন সফরের সেই সভারই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এটা দুঃখের বিষয় যে আমি এই সংসদের সদস্য’। রাহুলের এহেন মন্তব্যে নিয়ে দেশে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি সাংসদরা রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলেছেন। রাহুলকে দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই আবহে এবার রাহুলের নাম না নিয়ে তাঁকে তোপ দাগলেন মোদী।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।