সদ্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। বক্তব্য রাখার সময়, রাহুল গান্ধী তুলে ধরেন জম্মু ও কাশ্মীরে তাঁর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময়ের অভিজ্ঞতা। রাহুল গান্ধী দাবি করেন, তাঁর নেতৃত্বে কাশ্মীরে যখন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলছিল,তখন তিনি জঙ্গিদের দেখেছিলেন, এবং জঙ্গিরাও তাঁকে দেখেছে।
রাহুল কেমব্রিজের ওই অনুষ্ঠানে জানান, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় তিনি যখন জম্মু ও কাশ্মীরে ওই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তখন তাঁর নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে থাকে। রাহুল জানান, তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেছিলেন সেই সময় তিনি যেন বিশেষ কয়েকটি জায়গা দিয়ে না পদযাত্রা করেন। ওই সমস্ত জায়গায় জঙ্গিদের থাকার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। তবে কংগ্রেস সভাপতি ওই জায়গা দিয়েই চলার সিদ্ধান্ত নেন। রাহুল জানান, ‘আমি আমার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আর তাঁদের জানিয়েছিলাম, আমরা হাঁটতে শুরু করেছিলাম। তখনই একজন অচেনা ব্যক্তি আমাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি চাইছিলেন আমি যেন তাঁর সঙ্গে কথা বলি।’ রাহুল বলেন, এই ব্যক্তি বলতে থাকেন, যখন রাহুল গান্ধী উপত্যকাতেই এসেছেন, তখন তিনি এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টের কথাও শুনে নিন। খানিকবাদেই ওই ব্যক্তি রাহুলকে আঙুল দিয়ে দেখান, এলাকায় রয়েছে কয়েকজন জঙ্গি। রাহুল বলছেন,’আমি ভেবেছিলাম আমি বিপদে পড়ে গিয়েছি। কারণ ওই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল, জঙ্গিরা আমাকে খুন করবে। তবে তাঁরা কিথুই করেননি, আর এটাই হল কারোর কথা শোনার ক্ষমতা।’ ( পর্যটনকে চাঙ্গা করতে ফোকাসে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ সমেত একগুচ্ছ বিষয়, কী বললেন মোদী)
উল্লেখ্য, সদ্য ইউকেতে পা রেখেছেন রাহুল গান্ধী। একসপ্তাহব্যাপী ইউকে সফরের প্রথমেই রাহুল কেমব্রিজে বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন সেখানে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অনুষ্ঠানের সময়, রাহুল ‘আর্ট অফ লিসনিং’ বা শ্রবণের ক্ষমতা সম্পর্কীয় এক আলোচনায় যোগ দেন। রাহুল দাবি করেন, উৎপাদনের গতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে পড়ে যাওয়ার তা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে চিনের উৎপাদন ব্যবস্থাকে। আর তারফলে বিশাল আকারের একটা নজরাদারি প্রয়োজন। এদিনের অনুষ্ঠানে রাহুল পেগাসাস নিয়েও বক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন ‘ভারতীয় গণতন্ত্র হামলার মধ্যে রয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে একটা হামলাকে রোখার চেষ্টায় রয়েছি। ’
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।