লন্ডনে গিয়ে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং সংসদ নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিস্ফোরক সব মন্তব্য নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তাল সংসদ। এই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নির্দিষ্ট একটি মন্তব্যের সঙ্গে ‘সহমত পোষণ’ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। লন্ডনে ব্রিটিশ সাংসদদের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, লোকসভায় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘এটা দুঃখের বিষয় যে আমি এই সংসদের একজন সদস্য।’ রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্যের জবাবে তাঁকে পালটা কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বললেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখের বিষয় যে রাহুল গান্ধী এই সংসদের একজন সদস্য।’ অনুরাগ আরও বলেন, ‘এটা দুঃখের বিষয় যে তিনি বিদেশে গিয়ে আমাদের সংসদকে অপমান করেছেন।’ (⦾ সরকারের কপালে ‘শনির দশা’, ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের প্রতিবাদে থমকে যাবে কাজ)
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ব্রিটেন সফরে গিয়ে বারবার ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন রাহুল গান্ধী। ব্রিটিশ সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সংসদের কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ। এদিকে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর লন্ডন সফরের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এটা দুঃখের বিষয় যে আমি এই সংসদের সদস্য’। রাহুল গান্ধী লন্ডনের হাউস অফ পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের বলেন যে লোকসভায় বিরোধীদের নীরব রাখতে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বক্তৃতা দেওয়ার সময় মজার ছলে হাউস অফ কমন্সের গ্র্যান্ড কমিটি রুমে একটি অকেজো মাইক তুলে ধরে রাহুল গান্ধী ‘ভারতে বিরোধীদের অবস্থা’ বোঝান। রাহুল বলেন, ‘আমাদের মাইকগুলি অকেজো নয়, সেগুলি কাজ করে। কিন্তু আপনি সেগুলি চালু করতে পারবেন না। আমি যখন কথা বলি, তখন আমার সাথে এটা (মাইক বন্ধ করে দেওয়া) বেশ কয়েকবার ঘটেছে।’
এই আবহে রাহুল গান্ধীকে পালটা তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন যে সংসদে রাহুল গান্ধীর উপস্থিতির হার খুবই কম। পাশাপাশি অনুরাগ ঠাকুর আরও অভিযোগ করেন, রাহুল আদতে বোঝেনই না যে সংসদ কীভাবে কাজ করে। তিনি বলেন, ‘সংসদ কীভাবে কাজ করে, তা বোঝার জন্য তাঁকে সংসদে আরও বেশি করে আসতে হবে। তিনি হয়ত জানেন না, তবে এই সংসদ নিয়ম এবং স্পিকারের নির্দেশে চলে। আমি তাঁর জন্য সংসদের নিয়মাবলী সংক্রান্ত বইও এনেছি। তাঁকে এটা দিতে চাই আমি। তাহলে হয়ত তিনি বুঝতে পারবেন সংসদ কীভাব চলে। অবশ্য এর জন্য তাঁকে সংসদে আগে আসতে হবে।’ পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর নামের ‘ভাব সম্প্রসারণ’ করে অনুরাগ বলেন, ‘রাহুল হলেন – রিগ্রেটফুল (অনুতপ্ত), অফুল (ভয়ঙ্কর), হেটফুল (ঘৃণ্য), আনগ্রেটফুল (অকৃতজ্ঞ), লায়ার (মিথ্যুক)।’ এদিকে রাহুলের থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করে অনুরাগ আরও বলেন, ‘একটি পরিবার কি সংসদ এবং দেশের চেয়ে বড়? বিদেশের মাটিতে সংসদ ও দেশকে অপমান করা রাহুল গান্ধী কেন লোকসভায় এসে দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে লজ্জিত?’
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।