নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপক আলেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল বেলারুশ। নোবেলজয়ীর মানবাধিকার সংস্থা ভিয়াসনার (বসন্ত) তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন বিয়ালিয়াৎস্কি। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিতর্কিত পুনর্নিবাচনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন। সেজন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিচার প্রক্রিয়ার পর ‘চূড়ান্তভাবে আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য আর্থিক মদত জোগানোর’ দায়ে তাঁকে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা
বিয়ালিয়াৎস্কির কারাদণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। একটি বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বেলারুশের মানবাধিকার কর্মীকে স্বেচ্ছাচারিভাবে গ্রেফতার এবং আটকে রাখার ঘটনা উদ্বেগজনক।’ নোবেল কমিটির তরফে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, পুরো মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ওই বিয়ালিয়াৎস্কিকে সাজা দেওয়ার রায় থেকেই স্পষ্ট যে যেনতেন প্রকারেণ সমালোচকদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখতে চায় বেলারুশের বর্তমান সরকার।
⦾ Nobel Peace Prize- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ২০২১-এ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন দুই সাংবাদিক
উল্লেখ্য, লুকাশেঙ্কোর বিতর্কিত পুনর্নিবাচন নিয়ে ২০২০ সালে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইউরোপের দেশ বেলারুশ। ঐতিহাসিক বিক্ষোভ চলেছিল। একাধিক মহলের দাবি, সেই আন্দোলনে রাশ টানতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মদতে বিরোধীদের ধরপাকড় শুরু করেছিল লুকাশেঙ্কোর সরকার। যে লুঙ্কাশেঙ্কো প্রায় তিন দশক বেলারুশে কার্যত স্বৈরাচারী শাসন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের। যিনি ইউরোপের রাজনীতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত। এমনকী পশ্চিমী দুনিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ছাড়পত্রও দিয়েছিলেন লুকাশেঙ্কো।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।