বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইডি, সিবিআই-এর ‘ব্যবহার’ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী নেতারা। এই আবহে অমিত শাহ ইডি, সিবিআই-কে নিয়ে মুখ খুললেন এক সংবাদমাধ্যনের আলোচনাসভায়। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে কথা বলার সময় বিজেপির ‘চাণক্য’ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। শাহ দাবি করেন, যতগুলি দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে তার মধ্যে শুধুমাত্র দু’টি বিজেপি সরকারের আমলের, বাকি মামলাগুলি ইউপিএ জমানায় দায়ের করা হয়েছিল। অমিত শাহ বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদালতের ঊর্ধ্বে নয়। নোটিশ, এফআইআর, চার্জশিট নিয়ে আদালতে যেতে পারেন বিরোধীরা। সেটা না করে বাইরে চিৎকার চ্যাঁচামেচি করছেন। আমি তাঁদের প্রশ্ন করতে চাই, যদি কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে কি তার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হবে না? এই সব মামলাগুলির মধ্যে শুধুমাত্র দু’টি ছাড়া বাকি সবগুলিই তাদের কংগ্রেসের শাসনকালে দায়ের করা হয়েছিল। আমাদের সরকারের আমলে নয়।’ (⦾ ডিএ ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, পালটা পদত্যাগ করে প্রতিবাদ ২২ অধ্যাপকের)
গত শুক্রবার অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের এক বড় নেত্রী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁরা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, তাহলে তার তদন্ত হোক। আর এখন তিনি আমাদেরই প্রশ্ন করছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ করলে তাঁরা কান্নাকাটি করছেন।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ শাসনকালের ১০ বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। তখন তা ধামাচাপা দিতে সিবিআইকে দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। কোনও আর্থিক তছরূপের মামলা হলে, তার তদন্ত করতে বাধ্য ইডি। কেউ কি তাঁদের আদালতে যাতে বাধা দিয়েছে? আমাদের থেকে অনেক ভালো ভালো আইনজীবী আছেন তাঁদের দলে। আমি আপনাদের প্রত্যেককে একটাই কথা বলতে চাই, আপনারা আইন মেনে চলুন। সেটাই একমাত্র রাস্তা।’
⦾ দমদম থেকে ছুটতে শুরু করল নতুন মেট্রো, চিনে তৈরি এই ‘ডালিয়ান’ রেকের বিশেষত্ব কী?
প্রসঙ্গত, ইডি, সিবিআই-এর কেন্দ্রীয় সংস্থার একের পর এক তদন্তে নাজেহাল অবস্থা অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার মামলায় জেলে গিয়েছেন তৃণমূলের বড়, মাঝারি, ছোট – সব স্তরের নেতারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। এদিকে শুধু তৃণমূল নয়, ইডি এবং সিবিআই-এর জোড়া ফলায় বিদ্ধি একাধিক রাজ্যের অ-বিজেপি শাসকদল। আম আদমি পার্টির দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা – মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন দুর্নীতির অভিযোগে জেলে। এর আগে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতও ইডি-সিবিআই-এর জালে জড়িয়েছিলেন। তেলাঙ্গানার শাসকদল বিআরএস-এর নেত্রী তথা তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কবিতাকে তলব করে জেরা করেছে ইডি। এই আবহে এই সব বিরোধী দলগুলি একজোট হওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এহেন পরিস্থিতিতে অমিত শাহের এই দাবি বেশ তাৎপর্যপূর্ব বলে মনে করা হচ্ছে।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।