Nation & World

CISF’এর আধিকারিকের কলার ধরে থাপ্পড়, কামড়ে দিলেন কলকাতার মহিলা যাত্রী

সিআইএসএফের ইনস্পেক্টরকে থাপ্পড় মারা ও কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা যাত্রীর বিরুদ্ধে। পুনে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘটনা। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত মহিলার নাম গুঞ্জন আগরওয়াল। তাকে পরে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি আদপে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দা। আপাতত তিনি হিনজেওয়াড়িতে একটি সফটওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, ওই মহিলা শনিবার মাঝরাতে এয়ারপোর্টের সামনে ট্যাক্সি থেকে নামেন। কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল তার। সেখানেই তার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ট্যাক্সিচালকের ঝামেল বাধে। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। রবিবার তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়। সেখান থেকে জামিন পান তিনি। 

এদিকে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল তার পরিবারের সঙ্গে। সেখানে তার বাবা জানিয়েছেন,  মন্তব্য করার মতো পরিস্থিতিতে তাঁরা নেই। যথাসময়ে তিনি গোটা ঘটনাটি জানাবেন। 

এয়ারপোর্ট পুলিশের সিনিয়র ইনস্পেক্টর বিলাস সোন্ডে মিডিয়াকে জানিয়েছেন,  ওই যাত্রী ট্যাক্সিতে চেপে এয়ারপোর্টে এসেছিলেন। ভাড়া নিয়ে চালকের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। এরপর তিনি ভাড়া না মিটিয়েই এয়ারপোর্টের গেট নম্বর ১ এর দিকে এগোতে থাকেন। এরপর গাড়ির চালক এয়ারপোর্টের আধিকারিকদের বিষয়টি বলেন। এরপর তারা ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য মহিলা যাত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। 

ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি চিৎকার করা শুরু করেন। এরপর তিনি লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের সামনে চিৎকার শুরু করেন। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সিআইএসএফকে খবর দেয়। কিন্তু তারপরেও তিনি থামেননি। একজন সিআইএসএফ আধিকারিক ও জওয়ানরা তাকে থামাতে এলে তিনি সিআইএসএফ ইনস্পেক্টর রূপালি থোকের ইউনিউর্মের কলারটা ধরেন। এরপর একটি থাপ্পড় মারেন তিনি। এরপর ৩৯ বছর বয়সী ওই ইনস্পেক্টরের বুড়ো আঙুলটি তিনি কামড়ে দেন। এর জেরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

তবে এনিয়ে ইনস্পেক্টর থোকে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর মতে সিআইএসএফ ও এয়ারপোর্ট অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছি। আমি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারি না। 

পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রীকে গ্রেফতার করার পরে তার অভিভাবকদের জানানো হয়েছিল। তার অভিভাবকরা কলকাতা থেকে পুনেতে আসেন। তারা জানিয়েছেন আগরওয়াল এমবিএ করার পরে চাকরি পেয়েছেন। ছ মাস হল তিনি পুনেতে থাকছেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য তার মন ছটফট করছিল। সেকারণেই বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। 

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।