ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে এই পাইপলাইনের সূচনা করবেন। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছিল। পাইপলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে ভারতের শিলিগুড়ি ও বাংলাদেশের পার্বতীপুর। প্রায় ১৩১ কিমি দূরে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবে ডিজেল। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার তার মহড়া হয়ে গিয়েছে।
এই প্রথম সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে জ্বালানি তেল যাবে বাংলাদেশে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে প্রায় ৩৭৭ কোটি টাকা।
এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের চুক্তি অনুসারে প্রথম তিন বছর বছরে দু লাখ টন করে জ্বালানি তেল ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। এরপরের তিন বছর তিন লাখ টন করে, পরের চার বছর পাঁচ লাখ টন করে ও পরবর্তী বছরগুলিতে বছরে ১০ লাখ টন করে জ্বালানি তেল ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবে। নিঃসন্দেহে দুদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করবে এই উদ্যোগ।
এই পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় হতে পারে। হিসাব অনুসারে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের ব্যারেল প্রতি দাম দেয় প্রায় ১১ ডলার। তবে এবার পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের খরচ পড়বে মোটামুটি ৫.৫০ ডলার। প্রায় সাড়ে ৫ ডলার মতো সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।
এই জ্বালানি তেল পার্বতীপুরের রিজার্ভারে গিয়ে জমা হবে। সেখানে আগে থেকেই ১৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা যুক্ত ট্য়াঙ্কার রয়েছে। আরও প্রায় ৬টি ট্যাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে। তার ধারণক্ষমতা হবে ২৯ হাজার টন।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরভাগের সাতটি জেলায় এই হাইস্পিড ডিজেল পাঠানো হবে। ২০১৮ সালেই দুদেশের মধ্য়ে এনিয়ে সমঝোতাপত্র সাক্ষরিত হয়েছিল। তবে মাঝে কোভিড পরিস্থিতির জেরে কাজ কিছুটা থমকে যায়। তবে এবার সেই প্রকল্পের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। ভারতের অংশে প্রায় ৫ কিমি ও বাংলাদেশের অংশে ১২৬.৫ কিমি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৩১.৫ কিমি পাইপলাইন তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বর্তমানে সেই দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরশাহী, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে তেল আমদানি করে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্বের তেলের বাজারেও অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে এবার এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিকল্প রুটে ভারত থেকে তেল নিতে পারবে।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।