আমদাবাদে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খোয়াজা এবং ক্যামেরন গ্রিন মিলে ভারতীয় বোলারদের একেবারে কাঁদিয়ে ছেড়েছে। পঞ্চম উইকেটে দুই তারকা মিলে ২০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। খোয়াজা এবং গ্রিন দু’জনেই সেঞ্চুরি হাঁকান। তাঁদের হাত ধরেই অজিদের স্কোর ৫০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ৪৮০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
⦾ জাদেজার কথায় অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে রিভিউ রোহিতের, হেসে গড়ালেন আম্পায়ারও- ভিডিয়ো
গ্রিন এবং খোয়াজার পার্টনারশিপ সিরিজে সর্বোচ্চ। শুক্রবার লাঞ্চের পর এই জুটি ভাঙেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে কিন্তু গ্রিনকে আউট করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল। মহম্মদ শামির একটি তীক্ষ্ণ ডেলিভারি ক্যামেরন গ্রিনের ব্যাটের কোণায় লেগে ক্যাচ ওঠে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বলটি দ্বিতীয় স্লিপের মধ্য দিয়ে ফাঁকায় বেরিয়ে যায়। এবং চার হয়ে যায়। বিরাট কোহলিই ছিলেন একাকী কর্ডনে। তাঁর পক্ষে কিছু করার ছিল না। রোহিত শর্মাকে আফসোস করতে দেখা যায় সেই সময়ে। বিরাট কোহলিও কার্যত মাথা চাপড়াচ্ছিলেন। সেই বলের আগে ৯১ রানে ব্যাট করছিলেন গ্রিন। দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ৩৪৭। লাঞ্চের পর অবশ্য শতরান হাঁকান ক্যামেরন গ্রিন। এ দিন তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন।
এই টেস্টের ফলের উপর নির্ভর করছে ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা। অস্ট্রেলিয়া ইন্দোরে ভারতকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। তাদের প্রতিপক্ষ কারা হবে, ভারত না শ্রীলঙ্কা, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আমদাবাদ টেস্টের ফলাফলের উপর। অথচ গ্রিন এবং খোয়াজা জুটি এই টেস্টেই ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছে।
চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারত একটিও উইকেট তুলতে পারেনি। প্রথম দিনের শেষে ২৫৫/৪ স্কোর নিয়ে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পৌঁছে যায় ১১৯ ওভারে ৩৪৭/৪। প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ৯২ রান যোগ করেন গ্রিন এবং খোয়াজা। ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রিন। লাঞ্চের পরেই তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
⦾ কাঁপিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্ব, অবশেষে অবসর নিলেন শন মার্শ
তবে লাঞ্চের পর পরই একই ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে জোড়া ধাক্কা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর বলে স্যুইপ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন গ্রিন। লেগস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার কেএস ভরত। ১৭০ বলে ১১৪ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১৮টি বাউন্ডারি। সেই ওভারেই কোনও রান না করে ফেরেন অ্যালেক্স ক্যারি। তার পর মিচেল স্টার্ককেও (৬) ফেরান অশ্বিনই। অশ্বিন এ দিন ছয় উইকেট নিয়ে অজিদের অলআউট করতে বড় ভূমিকা নেন।
খোয়াজা আবার চা-বিরতির পর ৪২২ বলে ১৮০ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হন। ২১টি বাউন্ডারি রয়েছে খোয়াজার এই ইনিংসে। শেষ পাতে নাথান লিয়ন এবং টড মার্ফিও বেশ কিছু রান যোগ করেন স্কোরবোর্ড। ৯৬ বলে ৩৪ করেন নাথান। মার্ফি ৬১ বলে ৪১ রানের ভালো একটি ইনিংস খেলেন। তাঁদের দু’জনকেই আউট করেন অশ্বিন। ৪৮০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। অশ্বিনের ৬ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। ১টি করে উইকেট নিয়েছে অক্ষর এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় দিন ভারত ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৬ করেছে। রোহিত শর্মা ১৭ এবং শুভমন গিল ১৮ করে অপরাজিত রয়েছেন।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।