Sports

৭ হাজারের মাইলস্টোনে শাকিব, ‘সব থেকে বেশি রানের’ ODI ইনিংস

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন শাকিব আল হাসান। একা শাকিবই নন, ব্যক্তিগত শতরানের দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফিরতে হয়ে তাওহিদ হৃদয়কেও। দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও ম্যাচে দলগতভাবে দুর্দান্ত এক নজির গড়ে বাংলাদেশে।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ তাদের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস গড়ে তোলে সিলেটে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ছিল ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানের। ২০১৯ সালে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ইনিংস গড়ে তোলে টাইগাররা। এবার থেকে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিলেটের এই ইনিংসটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ান ডে ইনিংস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

শতরান হাতছাড়া করলেও শাকিব এদিন অনবদ্য এক ব্যক্তিগত মাইলস্টোন টপকে যান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ৭০০০ রান পূর্ণ করেন শাকিব। তাঁর আগে কেবল তামিম ইকবাল এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তামিম ২৩৫টি ওয়ান ডে ম্যাচের ২৩৩টি ইনিংসে ব্যাট করে ৮১৪৬ রান সংগ্রহ করেছেন। শাকিব ২২৮টি ওয়ান ডে ম্যাচের ২১৬টি ইনিংসে ব্যাট করে ৭০৬৯ রান সংগ্রহ করেন।

⦾- IPL 2023: শ্রেয়স আইয়ার ছিটকে গেলে KKR-এর ক্যাপ্টেন হওয়ার দাবিদার এই পাঁচ তারকা

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে শাকিব দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৯৩ রান করে আউট হন। ৮৯ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার মারেন। তাওহিদ ৮৫ বলে ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাকিব ও তাওহিদ, উভয় ব্যাটসম্যানকেই শতরানের দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরান গ্রাহাম হিউম। একই ওয়ান ডে ম্যাচে ৯০-এর ঘরে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করা দ্বিতীয় বোলারে পরিণত হন হিউম। তাঁর আগে এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ভারতের বিনয় কুমার। তিনি ২০১৩ সালে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলি (৯৮) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৯২) সাজঘরে ফেরান।

⦾- অল্পের জন্য ভাঙা হয়নি আফ্রিদির রেকর্ড, সব থেকে কম বলে ODI শতরানকারীদের এলিট লিস্টে UAE-র আসিফ, দেখুন সেরা পাঁচের তালিকা

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া তামিম ইকবাল ৩, লিটন দাস ২৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৫, ইয়াসির আলি ১৭, তাস্কিন আহমেদ ১১, নাসুম আহমেদ ১১ ও মুস্তাফিজুর রহমান ১ রানের যোগদান রাখেন। ১৫ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে। হিউম ৬০ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন।

————– সমাপ্ত ————–

এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।