শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে বিরাট কোহলি ফর্মে ফিরলেও, দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে তাঁর খারাপ ফর্ম জারি রয়েছে। চলতি বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতেও একেবারেই ভালো ফর্মে নেই তিনি। স্পিনের বিরুদ্ধে বারবার সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে চলতি সিরিজেও একটি অর্ধশতরান করতে পারেননি তিনি। বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে বিরাটের ব্যাটিং গড়ও অতি সাদামাটা। অফ স্পিনারদের বিরুদ্ধে গড় মাত্র ২৮.৩৭। ২০২০ সালের পর থেকে আটবার অফস্পিনারের বলে আউট হয়েছেন তিনি। চলতি সিরিজেও সদ্য অভিষেক হওয়া অজি অফ স্পিনার টড মার্ফির বলে আউট হতে হয়েছে তাঁকে। সেই ‘মহাকাব্যিক’ মুহূর্তটির এবার স্মৃতিচারণা করলেন অজি তারকা।
আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টড মার্ফি জানান ‘অসাধারণ একটা মুহূর্ত ছিল।আমি যখন নাগপুরের (টেস্টের) দিকে ঘুরে তাকাই আমার মনে পড়ে বিরাট (কোহলি) যখন ব্যাট করতে নামছে আমি তখন আমার রান আপে দাঁড়িয়ে। আমার মনে হয়েছিল আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। এতবড় একজন ব্যাটারকে বল করতে পারার অনুভূতিই আলাদা। আর প্রথম তিন টেস্টেই সেটা করতে পারার অনুভূতিই আলাদা। খুব উপভোগ্য একটা লড়াই ছিল (কোহলি বনাম মার্ফি)। ভারতের অনেকেই বড় ব্যাটার। ওদের বিরুদ্ধে ভালো বোলিং করতে পারার অনুভূতিই আলাদা। এক এক সময়ে বেশ কঠিন কাজও বটে।’
চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ইতিমধ্যেই মার্ফি ১১টি উইকেট নিয়েছেন। চতুর্থ টেস্টে আমদাবাদেও ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে তাঁর থাকার সম্ভাবনা প্রবল। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করতে হলে ভারতকে আমদাবাদ টেস্টে জিততেই হবে। টড মার্ফি আরো যোগ করেন, ‘যখন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। নাগপুরের আউটটা (বিরাটের আউটটা) যে খুব আদর্শ ছিল তা নয়। তবে উইকেট যেভাবেই আসুক না কেন সেটাকে আমি গ্রহণ করেছি। অনেক সময়েই এমন হয় ভালো বলে উইকেট আসেনি। কিন্তু একটা খারাপ বলে আবার উইকেট পাই।’
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।