পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল। তারইমধ্যে আগামী ৮ মার্চ পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ফলে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে এই দিনটিতে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে আগামী ৮ মার্চ বাড়ি বাড়ি মহিলাদের কাছে পৌঁছে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াবে ঘাসফুল শিবির। আবিরের সঙ্গে দেওয়া হবে শুভেচ্ছা বার্তা। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক ধর্ষণ শ্লীলতাহানি-সহ নারী নির্যাতনের বহু ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের নারীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে যে কতটা সুরক্ষিত এবং নারীদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে সেই বিষয়টি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে মহিলাদের কাছে তুলে ধরবেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা।
সাধারণত সারা বছর ধরেই তৃণমূলের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে তৃণমূলের তরফে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মহিলাদের কাছে দলের তরফে বিশেষ বার্তা পাঠানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের মহিলা নেত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ৩৬টি সাংগঠনিক জেলার ১০০০০ বাড়িতে পৌঁছে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। বর্তমান সরকারের আমলে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত রয়েছেন এবং উন্নয়নের বিষয়গুলি তাদের কাছে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও, হোলির দিন আবির এবং শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হবে। শুভেচ্ছা বার্তায় লেখা থাকবে, ‘হোক আনন্দ অনন্ত দিদির কবচে সুরক্ষিত মেয়েদের জীবন বসন্ত।’ পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে ডোরিনা ক্রসিংয়ে একটি অনুষ্ঠান করা হবে।
প্রসঙ্গত, সামনে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়ানোকে তৃণমূলের রাজনীতির অংশ হিসেবে মনে করছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, মহিলা ভোটারদের টার্গেট করার জন্যই তৃণমূলের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, সারা বছর দলের তরফে কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। এখন রাজ্য জুড়ে চলছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। এরই মধ্যে নারী দিবস পড়ে যাওয়ায় মহিলাদের শুভেচ্ছা জানাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
————– সমাপ্ত ————–
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।