টাটাকে টাটা করে এখন বিলাপের অন্ত নেই সিঙুরের মানুষের। তারই বদলে নাকের বদলে নরুণের মতো জুটেছিল ‘জুয়ালারি হাব’। তাতে হাজার পাঁচেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি জমি বেসরকারি হাতে দেওয়া যাবে না বলে সেই প্রসল্পও রুখে দিলেন স্থানীয়রা।
সিঙুরে সরকারি জমিতে ‘জুয়েলারি হাব’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ইমিটেশন জুয়েলারি তৈরির কারখানা হবে। এক ছাদের নীচে থাকবে সমস্ত সুবিধা। ৩৮টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ০.২৩ একর জমিতে হওয়ার কথা সেই প্রকল্পের। ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি রাজ্য সরকারের।
সেজন্য সিঙুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দিন কয়েক আগে চিহ্নিত সরকারি জমি মাপতে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। তখনই রুখে দাঁড়ান স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, জুয়েলারি হাবের নামে সরকারি জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। এই কাজ আমরা হতে দেব না।
জমি মাপতে যে স্থানীয়রা বাধা দিয়েছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন শিল্প দফতরের এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘জমি পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়দের কিছু বক্তব্য আছে। আমরা কথা বলে মিটিয়ে নেব।’ আলোচনায় সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী সিঙুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মালিক। ওদিকে সিপিএমের বক্তব্য, আমরা জানতাম এটা হবে। মমতার নেতির রাজনীতি বুমেরাং হয়েছে। উনিই সিঙুরের সর্বনাশ করে টাকাকে তাড়িয়েছিলেন। এখন নিজেই শিল্পের জন্য জমি পাচ্ছেন না। এবার গ্রামবাসীদের বোঝানোর দায়িত্ব ওদের।
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।