⦾ বছরজুড়ে সব দিনই তো বিক্রেতার, এই একটি দিনই সম্ভবত ক্রেতার। ‘ওয়ার্ল্ড কমজিউমার রাইটস ডে’– বিশ্ব ক্রেতা অধিকার দিবস। বিশ্ব এখন এক বৃহৎ বাজার। সারাদিন ধরে হরেক জিনিসের কেনাকাটা সেখানে। অনবরত কিনে যাচ্ছেন ক্রেতারা। আর অনবরত বেচে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। বেচাকেনার এই বিপুল বিশাল বাজারে ক্রেতার সুরক্ষাকবচ তাই খুবই জরুরি। যাতে এই বিপুল বাজার ক্রেতাদের উপর কোনও অবিচার করতে না পারে, তাই এই রকম দিনের ভাবনা, তাই এই সুরক্ষার ভাবনা।
⦾ Albert Einstein: আইনস্টাইনের জীবনের কিছু ঘটনা, যা আজও গভীর রহস্যে ঢাকা…
প্রতি বছর আজকের দিনে ১৫ মার্চ বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় এই ‘ওয়ার্ল্ড কমজিউমার রাইটস ডে’ বা বিশ্ব ক্রেতা অধিকার দিবস। ইন্টারন্যাশনাল কনজিউমার মুভমেন্টেরই বৃহত্তর অংশ হল এইরকম একটি দিন ভাবনা।
খুব বেশি দিনের কথা নয়, ১৯৮৩ সালে এই দিনটির কথা প্রথম ভাবা হয়। দিনটির পিছনে প্রেরণা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। তবে শুরুটা আরও আগে। ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ তারিখেই তিনি মার্কিন কংগ্রেসে এ নিয়ে একটা বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনিই বিশ্বের প্রথম নেতা যিনি এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। উপভোক্তার অধিকারকে সুরক্ষিত করার কথা প্রথম ভেবেছিলেন তিনিই।
⦾ Cyclone Freddy: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড এলাকা; তছনছ বাড়িঘর, উপড়েছে গাছ! ভারত মহাসাগরে ঘুরছে এই ঝড়…
ইদানীং ক্রেতারাও বিষয়টি নিয়ে ক্রমশ সচেতন হচ্ছেন। তাঁরাও এই দিন, এ সংক্রান্ত আইন-কানুন ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এবং নিজেদের আর আগের মতো এত অসহায় মনে করছেন না। তাঁরা জেনেছেন, তাঁদেরও সুবিচার পাওয়ার একটা সেল রয়েছে।
প্রতি বছরই দিনটির একটা থিম থাকে। এ বছরও আছে। এ বছরের থিম হল– এমপাওয়ারিং কমজিউমার্স থ্রু ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন। একটু ঘুরিয়ে এই থিমটি আসলে ক্রেতাদের সুরক্ষার ভাবনাই ভাবে। ক্রেতার ক্ষমতায়ন নিয়েও ভাবনা এখানে নিহিত।
ভারতেও দিনটির বিষয়ে ভাবনা রয়েছে। ১৯৮৬ সালে ৯ ডিসেম্বর ক্রেতাদের সুরক্ষার ভাবনা ভাবা হয়েছিল। ক্রেতাদের যদি কিছু বলার থাকে তবে যথাস্থানে তাঁরা যেন তা বলতে পারেন, সে বিষয়ে ভাবনা শুরু হয়েছিল। এবং দিনে দিনে এই ভাবনা আরও এগিয়েছে।
(————– সমাপ্ত ————–)
এই খবর ইউনিকাস প্রতিস্থাপন করেনি তাই এর কোনো কৃতিত্ব অথবা দ্বায়িত্ব ইউনিকাস এর নয়। দয়া করে এর উৎস টি খুঁটিয়ে দেখুন। এই পোস্ট টি আপত্তিকর হলে, তা অবিলম্বে মুছে ফেলতে আমাদের সত্বর যোগাযোগ করুন।